PMAY

Central Team: বড় বাড়ি কী করে, পরিদর্শনে প্রশ্ন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যদের

একশো দিনের কাজ, সরকারি আবাস যোজনা ও সড়ক যোজনার কাজ কেমন হয়েছে তা সরেজমিনে দেখতে সোমবার বিকেলে জেলায় আসে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লাভপুর শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ ০৭:০৯
Share:

সফরে কেন্দ্রীয় দল। নিজস্ব চিত্র।

কোথাও মাটি খুঁড়ে দেওয়ালের ভিতের গভীরতা মাপলেন। ছবি তুললেন রাস্তার কাজের। আবার কখনও উপভোক্তার কাছেই জানতে চাইলেন বরাদ্দ সরকারি টাকায় এত বড় বাড়ি হল কী করে, এমনই নানা জিজ্ঞাসা নিয়ে মঙ্গলবার লাভপুর ঘুরলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। পঞ্চায়েতে ঢুকে খতিয়ে দেখলেন একশো দিনের কাজের বেশ কয়েক বছরের পুরনো নথিপত্রও।

Advertisement

একশো দিনের কাজ, সরকারি আবাস যোজনা ও সড়ক যোজনার কাজ কেমন হয়েছে তা সরেজমিনে দেখতে সোমবার বিকেলে জেলায় আসে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। মঙ্গলবার পৌনে ১০টা নাগাদ তিন সদস্যের একটি দল প্রথমে লাভপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে পৌঁছয়। সঙ্গে ছিলেন ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের বীরভূম জেলা নোডাল অফিসার সন্তু তরফদার সহ অন্যরা। প্রায় ৪৫ মিনিট বিভিন্ন খাতাপত্র দেখেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তার পরে যান ধাত্রীদেবতায়। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বেশ কিছু সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়েছে। সেগুলি দেখে লাভপুর-হাঁসুলি রাস্তার কাজ দেখেন। ছবিও তুলে রাখেন।

এ দিন ওই রাস্তার বোর্ডে ‘প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা’র নাম দেখা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক দিন আগেও ওই জায়গায় ‘বাংলা সড়ক যোজনা’ লেখা বোর্ড ছিল। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এর পরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে গড়া কাদিপুর শিশু পার্কে। সেখানে মাটি খুঁড়ে ভিতের গভীরতা দেখেন। হাঁসুলি বাঁকেও মাটির বাঁধ নির্মাণের কাজ দেখেন। কাদিপুরে দেখতে যান নদীবাঁধ। ফেরার পথে কাদিপুরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে তৈরি দুটি বাড়ি দেখতে যান। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখা বোর্ড দেখা গিয়েছে।

Advertisement

সরকারি প্রকল্পে হওয়া বাড়ির আয়তন দেখে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপভোক্তাদের কাছে জানতে চান, বরাদ্দ টাকায় এত বড় বাড়ি তৈরি কী করে সম্ভব হল। উপভোক্তারা জানান, অনুদানের সঙ্গে নিজেরাও কিছু টাকা দিয়ে বাড়ি করেছেন।

লাভপুর গ্রামীণ হাসপাতাল পরিদর্শন করে ফের পঞ্চায়েতে ফেরেন তাঁরা। দুপুরের পরে ইন্দাস পঞ্চায়েতে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে হওয়া বেশ কিছু কাজ খতিয়ে দেখেন। কাজের মান নিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সদস্যরা ২০১৩-১৪ থেকে ২০২১-২২ সাল পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজ-সহ কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন। কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও প্রশাসনের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement