Post Poll Violence

Post poll violence: ‘ভোট-পরবর্তী হিংসা’ নয় মিঠুন-হত্যা, জমা চার্জশিট

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বৃহস্পতিবার চার্জশিট জমা দিয়েছেন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক ও পি শর্মা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভোট পরবর্তী হিংসার গোত্রে পড়ে না কাঁকরতলার বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগদি খুনের মামলা। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুবরাজপুর আদালতে দেওয়া ওই মামলার চার্জশিটে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সূত্রে খবর।

Advertisement

ওই সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলায় রাজ্য পুলিশ যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল, সিবিআইয়ের দেওয়া ২০ পাতার চার্জশিটেও রয়েছে সেই পাঁচ জনের নাম। যা রাজ্য পুলিশের তদন্তকে কার্যত মান্যতা দেওয়া। এতে স্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। অন্য দিকে, বিজেপির এখনও দাবি, সিবিআই চার্জশিটে যাই উল্লেখ করুক মিঠুন ভোট পরবর্তী হিংসার বলি।

জেলার সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায়, যিনি তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতিও জানান, প্রাথমিক ভাবে পাঁচ জনের নামে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। তাঁর কথায়, ‘‘সিবিআই বলেছে এই মামলা ভোট পরবর্তী হিংসার মধ্যে পড়ে না। সিবিআই অভিযুক্তদের যে বিবৃতি গ্রহণ করেছে, সেটা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে ওই খুনের আগে যে খুন হয়েছিল দু’পক্ষই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতের দাবিকেও মানেনি সিবিআই।’’ দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা দাবি করেছেন, ‘‘সিবিআই কী চার্জশিট দিয়েছে জানি না। তবে দলগত ভাবে জানি আমাদের ওই নেতা খুন হয়েছে তৃণমূলের উস্কানিতেই।’’ চলতি বছরের ১২ জুন কাঁকরতলা থানার নবসন গ্রামে বছর পঁচিশের ওই বিজেপি কর্মীকে কুপিয়ে, থেঁতলে খুনের অভিযোগ ওঠে। প্রথম থেকেই তৃণমূল দাবি করে এসেছিল, গত বছর ডিসেম্বরের পথ দুর্ঘটনায় মৃত এক যুবকের পরিবারের আক্রোশে খুন হয়েছেন মিঠুন। একই দাবি ছিল পুলিশেরও। এ দিকে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা হিসেবে ওই মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। গত মাসের ২৮ তারিখ থেকে তদন্তে নামে সংস্থা।

Advertisement

গত ডিসেম্বরে নবসন গ্রামে মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় রাজু বাগদি (২৪) নামে এক যুবকের। মিঠুন বাগদি ইচ্ছে করে বাইকের ধাক্কায় খুন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। বেশ কয়েক মাস জেল খেটে জামিন পেয়ে ১২ জুন মিঠুন সপরিবার বাড়িতে ফিরেছিলেন। অভিযোগ, রাজুর স্ত্রী ও পরিজনরা তাঁর উপরে চড়াও হয়ে মিঠুনকে পিটিয়ে, কুপিয়ে খুন করে।

জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বৃহস্পতিবার চার্জশিট জমা দিয়েছেন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক ও পি শর্মা। ঘটনা হল, নিজেদের হাতে ওই মামলা নেওয়ার পরে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করে সিবিআই। জেরা করা হয় ২০ জনকে। তার মধ্যে ১৭ জনের বক্তব্যের রেকর্ড রয়েছে। সিবিআই জেলে গিয়ে তিন অভিযুক্তকে জেরা করে। অভিযুক্ত লক্ষ্মী বাগদির ফরেন্সিক সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষা হয়। তবে সেই রিপোর্ট আসেনি। আসেনি মিঠুনের ভিসেরা রিপোর্টও। সেগুলি থেকে কিছু পেলে পরে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট জমা হতে পারে বলে আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement