বিশ্বভারতীর বরখাস্ত উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্তে ফের শান্তিনিকেতনে এল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই)। বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচিব সৌগত চট্টোপাধ্যায় এবং সহকারী কর্মসচিব হিল্লোল মুখোপাধ্যায়কে জেরা করেন সিবিআই-এর অতিরিক্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট শান্তনু কর। জেরার পরে নথি সংগ্রহ করেন শান্তনুবাবু।
বিশ্বভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন দত্ত বলেন, “তদন্তের জন্য প্রথম দফায় এসে, বেশ কিছু নথির প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে তালিকা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ওই তালিকা অনুযায়ী সমস্ত নথি তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বভারতী।” এ দিন দীর্ঘ জেরা নিয়ে সৌগতবাবু ও হিল্লোলবাবু অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিশ্বভারতীর বরখাস্ত উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের মেয়াদ কালে কর্মী, অধ্যাপক এবং আধিকারিকদের বহু নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অতীতে। সুশান্তবাবুর বিরুদ্ধে, নিয়োগে অনিয়ম, আর্থিক দুর্নীতি, পদোন্নতি-সহ বহু অভিযোগ জমা পড়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে। তা ছাড়াও, বেআইনি ভাবে নানা সুবিধা সুযোগ পাইয়ে দেওয়া, ক্ষমতার বাইরে গিয়ে নিয়োগ, পদ তৈরি-সহ স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করে। তারা রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বরখাস্ত হন সুশান্ত। সুশান্তবাবুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছিল বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, কর্মী, অধ্যাপক, আধিকারিক এবং অভিভাবকদের একাংশকে নিয়ে গঠিত জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি।