ফাইল চিত্র।
নলহাটির বিজেপি কর্মী মনোজ জয়সওয়াল খুনের মামলায় অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে জেরা করার অনুমোদন অবশেষে পেল সিবিআই। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের এসিজেএম পরাগ নিয়োগী ওই নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার এসিজেএমের এজলাসে তিনটি শুনানি হয়। প্রথমত, ওই খুনের ঘটনায় জেল হেফাজতে থাকা দুই অভিযুক্ত মইনউদ্দিন শেখ এবং ইমরান শেখের জেল হেফাজতে জেরা করার জন্য সিবিআইয়ের করা আবেদনের শুনানি হয়। দ্বিতীয়ত, আর এক অভিযুক্ত আজিমউদ্দিন শেখকে মামলা থেকে খালাস করার দাবি জানিয়ে তাঁর পক্ষের আইনজীবীর করা আবেদনের শুনানি। তৃতীয়ত, মামলায় পুনরায় তদন্ত রোধ করা নিয়ে অভিযুক্তপক্ষের পক্ষের আইনজীবীদের করা আবেদনের শুনানি।
আজিমউদ্দিনের আইনজীবী সুপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জেল হেফাজতে থাকা দুই অভিযুক্তকে জেরা করার অনুমতি দিয়েছেন। বাকি আবেদনগুলির বিষয়ে পুনরায় শুনানির দিন ২৯ সেপ্টেম্বর ধার্য হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে পরে গত ১৪ মে নলহাটির ব্যবসায়ী মনোজকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। নলহাটি থানার মধুরা ক্যানালের ধারে জমি থেকে মনোজের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মনোজ-খুনের মামলার শুনানি এর আগে অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে থাকাকালীন সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে জেরা করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু, ‘পদ্ধতিগত জটিলতা’ থাকায় মামলার সমস্ত কাগজপত্র অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত থেকে এসিজেএম আদালতে পাঠানো হয়। মাঝে এক দিন এসিজেএম না-থাকায় মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। এ দিন অবশ্য সিবিআই দুই অভিযুক্তকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেল।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মনোজ-খুনের ঘটনায় পুলিশ ৫ জনের নাম পায়। তাদের মধ্যে মইনউদ্দিন ও ইমরান জেল হেফাজতে আছে। আজিমউদ্দিন শেখ নামে আর এক অভিযুক্ত বর্তমানে জামিনে মুক্ত। বাকি দু’জন অভিযুক্ত এখনও পলাতক। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই গত ২৯ অগস্ট এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয়। সে দিনই নলহাটি থানায় এসে ঘটনার দুই তদন্তকারী অফিসার এবং ওসি-র সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। পরবর্তীতে মইনউদ্দিন ও ইমরানের বিরুদ্ধে রামপুরহটা আদালতে সিবিআই চার্জশিট জমা দেয়।