সেহগাল হোসেনের মৃত বন্ধু মাধব কৈবর্তের নামেও বিপুল সম্পত্তির সন্ধান। — ফাইল চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার গাড়ি চালকদের নামে সম্পত্তির হদিস পেয়েছে সিবিআই। এ বার অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী ও গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি সেহগাল হোসেনের মৃত বন্ধু মাধব কৈবর্তের নামেও বিপুল সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। এর সঙ্গে সেহগালের যোগ রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এই সংক্রান্ত একটি নথি গত সপ্তাহে আসানসোল আদালতে সিবিআই পেশ করেছে বলে সূত্রের খবর।
গত বছর এপ্রিল মাসে ইলামবাজারে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মাধব এবং সেহগালের শিশুকন্যার। তাঁর বাড়ি ছিল কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের সীতারামপুর গ্রামে। এ ছাড়াও স্থানীয় জলজলিয়া এলাকায় তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। সেহগাল হোসেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে গত কয়েক বছরে পেশায় ব্যবসায়ী মাধবের ফুলেফেঁপে ওঠা নিয়েও এলাকায় যথেষ্ট চর্চা ছিল। সরকারি তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, জলজলিয়া মৌজায় ২০১৮ থেকে ২০২২ সালে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় ৫২ শতক জমি কিনেছিলেন মাধব। কিছু জমি যৌথ ভাবেও কেনা রয়েছে। একই ভাবে সর্পলেহনা-আলবাঁধা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সর্বানন্দপুরেও প্রায় ১৩০ শতক জমি ওই সময়কালে মাধব কিনেছিলেন ও লিজ় নিয়েছিলেন বলে সরকারি তথ্যে পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী কয়েক কোটি টাকার জমি সেগুলি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “যতদিন যাবে, ততই আরও সম্পত্তির হদিশ মিলবে। তবে আমরা এর শেষ দেখতে চাই।” বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “শুধু অনুব্রত নন, তাঁর দেহরক্ষীও কিছু কম যান না। ওঁর ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকেও আগে প্রচুর সম্পত্তির হদিস মিলেছে, আবারও মিলছে। তদন্ত সঠিক হলে আরও অনেক কিছু বের হবে।” মাধবের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পরিবারের এক সদস্য বলেন, “এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।” তৃণমূল কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।