সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে বুধবার অভিযান চালিয়ে নথি সংগ্রহ করেছে সিবিআই। নিজস্ব চিত্র।
গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে বীরভূমের সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে আরও ১৫৩টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বুধবার ওই ব্যাঙ্কে হানা দিয়ে অ্যাকাউন্টগুলির নথি সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচারচক্রের কালো টাকা সাদা করতেই সিউড়ির ওই সমবায় ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। আগেও ওই ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সে বার ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করে সিবিআই। সে বার অভিযানের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে যে, ওই ব্যাঙ্কে আরও ভুয়ো অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর পরেই বুধবার আবার সিউড়ির ওই ব্যাঙ্কে হানা দেয় তারা।
সিবিআইয়ের দাবি, গ্রামবাসীদের নামে ওই অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে। যাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁরা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এমন অনেকের নামেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যাঁরা সই-ও করতে পারেন না। বুধবার সমবায় ব্যাঙ্কে যাওয়ার পর পুরন্দরপুর এলাকার হরিপুর গ্রামে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে দাবি। যাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রে দাবি, গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই অ্যাকাউন্টের বিষয়ে জানেন না। গ্রামবাসীদের দাবি, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছ থেকে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড নেওয়া হয়েছিল। ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি যাচাই করে তদন্তকারীরা দেখেছেন, যাঁদের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ডের তথ্যই একমাত্র মিলেছে।
গরু পাচারকাণ্ডে গত বছরের ১১ অগস্ট গ্রেফতার হন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। অনুব্রতের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। এই আবহে সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে আরও ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গেল বলে দাবি করল সিবিআই।