Fraud

‘হ্যালো, বিডিও বলছি’, উপপ্রধানদের ফোন করে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! গ্রেফতার চার

বলা হয়, ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে। ওই কথা মতো ৩ জন সব মিলিয়ে ২ লক্ষ টাকা পাঠান। তাঁদের জানানো হয়, পরের দিনই বিডিও অফিসে ইন্টারভিউ হবে। তার পরেই সামনে আসে প্রতারণার ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৩
Share:

জানানো হয় ওন্দা এবং বড়জোড়া ব্লকে আশাকর্মী এবং আইসিডিএস-সহ একাধিক শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ হবে। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

জয়েন্ট বিডিওর পরিচয় দিয়ে ব্লক অফিসে একাধিক শূন্যপদে চাকরি আছে বলে ফোন করেছিলেন। সেই টোপ গিলে লক্ষাধিক টাকা খুইয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা। অবশেষে বাঁকুড়া সাইবার পুলিশের জালে ধরা পড়লেন চার ‘প্রতারক’। বিশেষ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাত পুলিশ জেলার বাসিন্দা ওই চার জনকে গ্রেফতার করেছে বাঁকুড়া সাইবার থানার পুলিশ। বুধবার তাঁদের তোলা হয় বাঁকুড়া জেলা আদালতে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৬ এবং ১৭ জানুয়ারি বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের কল্যাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং বড়জোড়া ব্লকের পিড়রাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মোবাইলে অজানা নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে সংশ্লিষ্ট ব্লকের জয়েন্ট বিডিও হিসেবে পরিচয় দেন। জানানো হয় ওন্দা এবং বড়জোড়া ব্লকে আশাকর্মী এবং আইসিডিএস-সহ একাধিক শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ হবে। উপপ্রধানের আত্মীয় কিংবা পরিচিত কেউ চাকরি করতে ইচ্ছুক হলে দ্রুত ওই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

এর পর কল্যাণী এবং পিড়রাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানদের মাধ্যমে ৩ জন যুবক পৃথক ভাবে ওই নম্বরে যোগাযোগ করেন। তাঁদের বলা হয় ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে। ওই কথা মতো ৩ জন সব মিলিয়ে ২ লক্ষ টাকা পাঠান। তাঁদের জানানো হয়, পরের দিনই বিডিও অফিসে ইন্টারভিউ হবে। সেই মতো তিন জন বিডিও অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন যে, প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাঁরা আলাদা ভাবে ওন্দা, বেলিয়াতোড় এবং বাঁকুড়া সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বারাসত এলাকার চার জনকে পাকড়াও করে পুলিশ।

Advertisement

এ নিয়ে বাঁকুড়ার ডেপুটি পুলিশ সুপার (আইনশৃঙ্খলা) সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘ওন্দা এবং বড়জোড়া ব্লকে আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটলেও একই রকম ফোন কল পেয়েছেন বাঁকুড়ার অন্যান্য ব্লকের প্রধান ও উপপ্রধানও। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সবগুলি ফোনালাপের পিছনে একটি চক্রই রয়েছে। এই চক্রে আরও বেশ কয়েক জন যুক্ত রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তল্লাশিও শুরু হয়েছে। তা ছাড়া, ধৃতদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ এবং তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement