গাড়ি নিয়ে পথে জামতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
দিনভর মাইক নিয়ে ঘুরে সবাইকে সতর্ক করছে পুলিশ। যাদের পথ চেয়ে বজ্রআঁটুনি, সেই হাতিরা না এলেও রটছে গুজব। আর তার ফলে আবার মাইক নিয়ে পথে নামতে হচ্ছে পুলিশ ও বন দফতরকে। পুরুলিয়ার মানবাজার ২ রেঞ্জ ও বান্দোয়ানের যমুনা বনাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনটাই চলল।
দক্ষিণ বাঁকুড়ায় তাণ্ডব চালাচ্ছে দলমা থেকে আসা কিছু হাতি। সেগুলি সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম হয়ে ঢুকেছে। বন দফতর ঝাড়খণ্ডে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ফেরানোর একটি পথ পুরুলিয়া হয়ে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে ওই পথে কিছু হাতিকে পাঠানো হয়েছিল।
হাতি আসার আগাম খবর ছিল না বলে বাঁকুড়ায় দু’জনের মৃত্যুর পরে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও দফতরের দাবি, হঠাৎ হাতিগুলি পথ বদল করায় সমস্যা হয়। বৃহস্পতিবার কোনও ঝুঁকি নেননি বন-কর্তারা। সকাল থেকেই সর্তক করতে মাইক নিয়ে নামা হয়েছিল। বিকেলের পরে কেউ যাতে বাড়ি থেকে না বেরোন সে কথা বার বার বলা হয়। সন্ধ্যায় মানবাজার ২ বনাঞ্চলের জামতোড়িয়া, সিংরাইডি ও বান্দোয়ানের যমুনা বনাঞ্চলের নতুনডি, কুইলাপাল গ্রামে গুজব রটে। শোনা যায়, হাতির দল কাছাকাছি চলে এসেছে। অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য ফের প্রচার শুরু করা হয়।
শুক্রবারও গুজব ঠেকাতে বান্দোয়ানের যমুনা বনাঞ্চলের কুইলাপাল, নতুনডি, চালুনিয়া, কুকড়ুডাবর আর মানবাজার ২ বনাঞ্চলের বেলগাড়িয়া, গোলাপাড়া, কালাঝর্না, সনকুড়া, কেন্দাজোড়, পাথরডাঙা, বুড়িবাধ, জামতোড়িয়া গ্রামে প্রচার চলেছে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সীমানার নজরদারি চালাচ্ছেন কর্মীরা। জেলার জঙ্গল থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে হাতির দল। অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।’’