বাঘমুণ্ডি

কেব্‌ল পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা

জেলা জুড়ে অচল হয়ে পড়েছে বিএসএনএলের মোবাইল পরিষেবা। কোথাও টানা প্রায় এক সপ্তাহ সিগন্যাল নেই, কোথাও সিগন্যাল থাকলেও ফোন কাজ করছে না। কোথাও বিদ্যুৎ চলে গেলেই চলে যাচ্ছে সিগন্যাল। গ্রাহকদের অভিযোগ, এই অবস্থার মধ্যে পরিষেবা চালু থাকলেও শনিবার দুপুরের পর থেকে পুরুলিয়া জেলার বেশির ভাগ অংশেই পরিষেবা পেতে নাকাল হয়েছেন গ্রাহকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৬ ০০:৫৬
Share:

জেলা জুড়ে অচল হয়ে পড়েছে বিএসএনএলের মোবাইল পরিষেবা। কোথাও টানা প্রায় এক সপ্তাহ সিগন্যাল নেই, কোথাও সিগন্যাল থাকলেও ফোন কাজ করছে না। কোথাও বিদ্যুৎ চলে গেলেই চলে যাচ্ছে সিগন্যাল। গ্রাহকদের অভিযোগ, এই অবস্থার মধ্যে পরিষেবা চালু থাকলেও শনিবার দুপুরের পর থেকে পুরুলিয়া জেলার বেশির ভাগ অংশেই পরিষেবা পেতে নাকাল হয়েছেন গ্রাহকেরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাঘমুণ্ডি এলাকায় বিএসএনএল কাজ করছে না। বিএসএনএলের পরিষেবা না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে এখানকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের। দিনের পর দিন লিঙ্ক ফেল থাকায় গত বৃহস্পতিবার ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা ব্যাঙ্কের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানাচ্ছেন, লিঙ্ক ফেল থাকলে তাঁদের পক্ষে কিছুই করার নেই। একই অবস্থা মানবাজারেও। এখানকার সমস্যা বিদ্যুৎ চলে গেলে সিগন্যাল চলে যাচ্ছে।

আবার পুরুলিয়া শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় সিগন্যাল থাকলেও কল করা যায় না বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। শনিবার দুপুরের পর পুরোপুরি বসে যায় পরিষেবা। কোথাও মোবাইলের স্ক্রিন থেকে সিগন্যাল চলে যায়, কোথাও সিগন্যাল থাকলেও নম্বর ডায়াল করলেই ‘এরর ইন কানেকশন’ কথাটি স্ক্রিনে ভেসে উঠছে বারবার। গ্রাহকদের অভিযোগ, আদ্রা-কাশীপুর এলাকায় সিগন্যাল বসে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে মাঝে-মধ্যেই।

Advertisement

জেলা টেলিকম ইঞ্জিনিয়র গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাঘমুণ্ডির পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। কারণ বাঘমুণ্ডি-বলরামপুর রাস্তায় জলের তোড়ে একটি সেতু ভেসে যাওয়ায় বাঘমুণ্ডি এক্সচেঞ্জের কেব্‌ল লাইন মাটির উপরে উঠে গিয়েছে। ওই সেতু তৈরির কাজ চলছে। এ দিকে কেব্‌ল লাইন মাটি থেকে বেশ খানিকটা উপরে ঝুলিয়ে রাখায় তা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এ ভাবে নাশকতা করা হলে কী ভাবে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব?’’ তিনি জানান, পুলিশকে মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে। তবে এফআইআর করা হয়নি। কিন্তু এ রকম ঘটনার পরেও কেন পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়নি, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি গৌতমবাবুর কাছে।

শনিবার দুপুরের পর থেকে পরিষেবা বসে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘হুড়া ও বাঁকুড়ার মাঝে কেব্‌ল কেটে যাওয়ায় এই বিপত্তি হয়েছে। খবর পাওয়ার পরেই মেরামতির কাজ শুরু হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement