প্রতীকী ছবি।
সংসদের জিরো আওয়ারে পুরুলিয়ায় বিএসএনএল-এর পরিষেবার বেহাল অবস্থা নিয়ে যখন সরব হচ্ছেন সাংসদ, কাশীপুরে তখনও বসে রয়েছে বিএসএনএল-এর এক্সচেঞ্জ।
গত ১২ জুলাই বিকেল থেকে রঘুনাথপুর ও মানবাজার মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে বিএসএনএলের নেটওয়ার্ক উধাও হয়ে যায়। ব্যহত হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। তার জেরে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজকর্ম শিকেয় ওঠার জোগাড় হয়েছিল। টানা ছ’দিন বেহাল থাকার পরে মঙ্গলবার অধিকাংশ জায়গাতেই ফিরে এসেছে বিএসএনএল-এর নেটওয়ার্ক।
কিন্তু পরিষেবা দীর্ঘ দিন ধরেই ধুঁকছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। এই ঘটনার পরে উঠে এসেছে অন্য একটি তথ্যও। মানবাজার এবং রঘুনাথপুরে জেলা টেলিকমের লাইন দীর্ঘ দিন ধরেই বসে রয়েছে। ইটিআর-এর লাইনের উপর নির্ভর করে এত দিন কাজ চলছিল।
বুধবার সংসদের জিরো আওয়ারে পুরুলিয়ার সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো জেলার বেহাল বিএসএনএল পরিষেবা নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, ‘‘বিএসএনএল সরকারি সংস্থা। এর উপরে অনেক পরিষেবা নির্ভর করে। কিন্তু জেলার অনেক মানুষ আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বেহাল নেটওয়ার্ক নিয়ে। পুরুলিয়ায় দফতরের লোকজনকে এই মর্মে একাধিকবার বলেও কোন ফল না হওয়ায় আমি সংসদে পরিষেবার এই বেহাল পরিস্থিতির কথা জানিয়েছি। যাতে গোটা জেলা জুড়ে পরিষেবা স্বাভাবিক হয় সেই দাবিও তুলেছি।’’
এ দিকে, এখনও বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিএসএনএল-এর কাশীপুর এক্সচেঞ্জ। কাশীপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক কৌশিক সামন্ত জানান, টানা এক সপ্তাহের বেশি বিএসএনএল পরিষেবা বেহাল। মাঝে শুধু কয়েক ঘণ্টার জন্য ঠিক হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘পরিষেবা না থাকায় আমাদের দফতরে কাজের জন্য যাঁরা আসছেন তাঁদেরও হয়রান হতে হচ্ছে। এখন ব্লকের বিভিন্ন মৌজার জমির মালিকদের রেকর্ডভুক্তির শুনানি চলছে। ইন্টারনেট নির্ভর কাজ হওয়ায় এই পরিস্থিতিতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, দূর থেকে অনেক মানুষ এসে কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘বিএসএনএল-এর নেটওয়ার্ক না থাকায় গোটা সপ্তাহ ধরে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে পড়ে রয়েছে। দফতরকে আমরা এই সমস্যার কথা জানিয়েছি। শুনেছি এক্সচেঞ্জে ব্যাটারির সমস্যায় এই কাণ্ড।’’
জেলা টেলিকাম আধিকারিক বি এল শর্মা বলেন, ‘‘সমস্যা কী ভাবে দ্রুত সমাধান করা যায় দেখা হচ্ছে।’’