Murder

সজনে ডাঁটা পাড়তে গিয়ে বিবাদে ভাইয়ের হাতে খুন দাদা! গ্রেফতার অভিযুক্ত ভাই ও তাঁর ছেলে

অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সজনের ডাঁটা পাড়তে গিয়ে দু’ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। ধীরেন্দ্রর দাবি, বিক্রি করার জন্যই সজনে ডাঁটা পাড়ছিলেন দাদা। তবে তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৪
Share:

অভিযোগ, তর্কাতর্কির সময় দাদার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন ভাই। প্রতীকী ছবি।

সজনের ডাঁটা পাড়তে গিয়ে বিবাদের জেরে দাদাকে খুন করলেন ভাই। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থানা এলাকার এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ। শনিবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হলে এক জনের ৩ দিন পুলিশি হেফাজত এবং অন্য জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বাঘমুন্ডি থানা এলাকার ভুরশু গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যাধর কুমার (৬২)-কে খুন করেছেন বলে তাঁর ভাই ধীরেন্দ্রনাথ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বিদ্যাধরের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধীরেন্দ্রনাথ এবং তাঁর ছেলে অরুণ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সজনে গাছের ডাঁটা পাড়তে গিয়ে দু’ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। ধীরেন্দ্রর দাবি, বিক্রি করার জন্যই সজনে ডাঁটা পাড়ছিলেন দাদা। তবে তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ধীরেন্দ্রর দাবি ছিল, ওই ডাঁটা বিক্রি করা হলে তার টাকা মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ভাইকেও দিতে হবে। যা নিয়ে বচসা শুরু হয়। তর্কাতর্কির সময় বিদ্যাধরের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন ধীরেন্দ্র। এতে গুরুতর চোট পান বিদ্যাধর।

চিকিৎসার জন্য বিদ্যাধরকে বিহারের রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (রিমস)-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বিদ্যাধরের।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর মৃত্যুর পর থানায় গিয়ে ধীরেন্দ্র ও তাঁর ছেলে অরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিদ্যাধরের স্ত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ধীরেন্দ্রনাথ এবং অরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার তাঁদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে হাজির করানো হয়। অভিযুক্ত ধীরেন্দ্রনাথকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সেই সঙ্গে অরুণকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement