Patrasayer

বাবার সামনেই তলিয়ে গেলেন

জেঠা রাধারমণ ধাড়া জানান, এ দিন ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ বাবা মাধব ধাড়ার সঙ্গে বেরিয়েছিলেন জয়ন্ত। রোজ ভোরেই দু’জন বেরোন। বাবা চাষের জমি দেখে আসেন। আর জয়ন্ত দৌড়তে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৩৯
Share:

জয়ন্ত ধাড়ার (উপরের ছবিতে) । নিজস্ব চিত্র

সরকারি চাকরির চূড়ান্ত তালিকায় নাম উঠেছে বলে কিছু দিন আগেই মোবাইলে মেসেজ এসেছিল যুবকের। বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের নান্দুড় ধাড়াপাড়ার সেই জয়ন্ত ধাড়া বুধবার ভোরে বাবার চোখের সামনে তলিয়ে গেলেন দ্বারকেশ্বরে। পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল নদে তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে রাত পর্যন্ত পাওয়া খবরে, বছর বাইশের জয়ন্তর সন্ধান মেলেনি।

Advertisement

জেঠা রাধারমণ ধাড়া জানান, এ দিন ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ বাবা মাধব ধাড়ার সঙ্গে বেরিয়েছিলেন জয়ন্ত। রোজ ভোরেই দু’জন বেরোন। বাবা চাষের জমি দেখে আসেন। আর জয়ন্ত দৌড়তে যান। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন দু’জন জলে নেমেছিল। হঠাৎ পা পিছলে গভীর জলে চলে যায় জয়ন্ত।’’ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্রোতের টানে ঘূর্ণিতে গিয়ে পড়েন ওই যুবক। মাধববাবু নিজের গামছা ছুড়ে ছেলেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।

খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। স্পিড বোট নিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। জয়ন্তর বাবা মাধববাবু পেশায় দর্জি। ছেলেকে চোখের সামনে তলিয়ে যেতে দেখার পর থেকে ঘন ঘন সংজ্ঞা হারাচ্ছেন তিনি। কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না জয়ন্তর মা এবং বোন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানে স্নাতক জয়ন্ত চাকরির চেষ্টা করছিলেন। রাধারমণবাবু বলেন, ‘‘পুলিশের চাকরির মেসেজ আসার পরে সবাই খুব আনন্দে ছিলাম। হঠাৎ সব ওলটপালট হলে গেল।’’প্রতিবেশী সন্তু দে বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশে চাকরি পেয়েছে বলে জানিয়েছিল জয়ন্ত। খুব খুশি ছিল।’’ আখড়াশাল গ্রামের মন্টু দে জয়ন্তর অনেক দিনের বন্ধু। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসেছিল ও। অক্টোবরে চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা। বলেছিল, তার আগে বন্ধুদের নিয়ে ফিস্ট করবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement