বীরভূমে মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য। নিজস্ব চিত্র।
আবার ঘটনাস্থল বীরভূম জেলা। এ বার বীরভূমের কীর্ণাহার থানার হরনাগুনপুর গ্রামের একটি মাঠ থেকে এক তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। পরিচিতের মধ্যেই কেউ তাঁকে ডেকে ধর্ষণ করে খুন করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই মৃতদেহটি চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। মৃতা কীর্ণাহার থানার হরনাণ্ডনপুর গ্রামের বাসিন্দা। নাম মঞ্জু বাগদি। তবে বছর ৩৫-এর ওই তরুণী কী ভাবে মাঠে এলেন, তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর নেপথ্যে কেউ রয়েছে কি না, এ সব তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মঞ্জুর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়দের এও দাবি, দেহ উদ্ধারের সময় তরুণীর গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো ছিল।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কীর্ণাহার থানার বাসিন্দা মঞ্জু বাড়িতে একাই থাকতেন। তাই কোনও পারিবারিক বিবাদের সম্ভাবনা এই ঘটনায় নেই বলে মনে করছেন তাঁরা। কী ভাবে তরুণীর মৃত্যু হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। গত কয়েক দিনে দু’দুটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বীরভূম জেলায়। শান্তিনিকেতন এবং কাঁকড়াতলা এলাকায় দুই নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনার পর ফের এক মহিলার রহস্যমৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।