—প্রতীকী চিত্র।
কয়েকদিন আগেই কীর্ণাহারে একটি প্রকাশ্য সভায় বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক অনুপম হাজরার সামনে দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (বোলপুর) সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। এ বার তাঁর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তোলা পোস্ট ছড়াল সমাজমাধ্যমে। আনন্দবাজার ওই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি।
বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও ওই অভিযোগ সম্বলিত পোস্ট ছড়িয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে দাবি। ওই পোস্টে অভিযোগ তোলা হয়েছে, দুর্গামন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য এক ব্যক্তির দান করা জায়গা সন্ন্যাসীচরণ নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বোলপুরের জনসভায় হেলিপ্যাডের জন্য ব্যবহৃত ইট নিয়ে তিনি নিজের বাড়িতে লাগিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ওই জনসভায় যানবাহনের অত্যধিক বিল দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগও করা হয়েছে।
কেবল আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগই নয়, তোলা হয়েছে রাজনৈতিক অভিযোগও। বোলপুর পুরসভা নির্বাচনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে তৃণমূলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতাতে কোনও প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে সমাজমাধ্যমের ওই পোস্ট।
ওই পোস্ট সামনে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি শিবির। বিজেপি সূত্রে দাবি, সন্ন্যাসীচরণের সঙ্গে দলের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক বিনয় ঘোষের গোষ্ঠীবিবাদ রাজনৈতিক মহলে বহুল চর্চিত। সন্ন্যাসীচরণ জেলা সভাপতি হওয়ার পর তা চরমে ওঠে বলে বিজেপির অন্দরের খবর। বিভিন্ন সময় সন্ন্যাসীচরণের বিরুদ্ধে বিনয় অনুগামীদের সরব হতে শোনা গিয়েছে। এর আগেও সমাজমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে পোস্ট হয়।
বিনয় অবশ্য দাবি করেছেন, এর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই। তিনি বলেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে ওই ধরনের একটি পোস্ট দেখেছি। উঁচুতলার নেতার খোঁজখরব নিলেই সত্যাসত্য উদঘাটিত হবে।’’ সন্ন্যাসীচরণ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, ‘‘যারা ওই ধরনের পোস্ট করেছেন তারা আমাদের দলের কর্মী হলেও আসলে তৃণমূলের দালাল। দলের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই ওই ধরনের পোস্ট করেছে।’’
তৃণমূলের নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ জন্যেই বলে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। বিজেপি নেতারা যে কত বড় দুর্নীতিবাজ তা ওই পোস্টই প্রমাণ করে।’’