লাভপুর থানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভ। ছবি: কল্যাণ আচার্য
জেলার ২৪টি থানাতেই বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হল বুধবার। একমাত্র পাড়ুই থানায় বোমাবাজির ঘটনা ছাড়া জেলার অন্য থানায় কোনও গণ্ডগোলের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেক জায়গাতেই জমায়েতে দূরত্ব-বিধির বালাই ছিল না।
বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, তৃণমূল নেতৃত্বের কথা শুনে বেছে বেছে বিজেপি নেতৃত্বর বিরুদ্ধে পুলিশি মামলা ও বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে এ দিন জেলার সমস্ত থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। জেলা নেতৃত্ব ছাড়া বোলপুর, লাভপুর, নানুর, রামপুরহাট, মহম্মদবাজার, খয়রাশোল থানা এলাকায় বিজেপির রাজ্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। লাভপুরে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, রামপুরহাটে ছিলেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, নানুরে ছিলেন বিবেক সোনকার, বোলপুরে সুভাষ সরকার, খয়রাশোলে পার্থ কুণ্ডু, মহম্মদবাজারে সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। নলহাটিতে নেতৃত্ব দেন বিজেপি র রাজ্য যুব মোর্চার নেতা নলহাটি থানা এলাকার বাসিন্দা ধ্রুব সাহা এবং ময়ূরেশ্বের থানায় নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য মল্লারপুর থানা এলাকার বাসিন্দা অর্জুন সাহা। জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল সিউড়িতে ছিলেন। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় ছিলেন মল্লারপুর থানায়।
বিজেপি নেতৃত্বর দাবি, জেলায় এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ৫০০ জন বিজেপি কর্মী বিনা অপরাধে জেল খাটছে বলেও অভিযোগ। এ দিন বিক্ষোভ থেকেই সে সবের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানানো হয় বলে জানান বিজেপি নেতৃত্ব। লাভপুরে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব বিজেপির থানা ঘেরাও হয়। লাভপুর থানার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রাজুর দাবি, ‘‘বিজেপি যদি মনে করে তাহলে পশ্চিমবঙ্গের যত থানা আছে সব এক মিনিটে গুঁড়িয়ে দিতে পারে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও কটাক্ষ করেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা অপব্যয় করছেন অনুব্রত। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা ক্ষমতায় এলে প্রতিটা টাকার হিসেব বুঝে নেব।’’ লাভপুর ছাড়াও বিজেপির জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব সমস্ত জায়গাতেই পুলিশি অত্যাচারের সমালোচনা করেছেন। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিত সিংহের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘থানা ঘেরাও কর্মসূচির নামে বিজেপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।’’