বিতর্কে জড়ালেন সৌমিত্র খাঁ।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের এক নেতাকে জড়িয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আবাস যোজনায় দুর্নীতি থেকে সারের কালোবাজারি-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে মঙ্গলবার সোনামুখী ব্লক অফিসে বিজেপির স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। সেখানে সৌমিত্র দাবি করেন, সোনামুখীর ব্লক অফিস এক আইএনটিটিইউসি নেতার অধীনে চলে গিয়েছে। ওই নেতার হোটেলে আপত্তিকর ব্যবসা চলে বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন। সৌমিত্রর অভিযোগ, ‘‘বিডিও তাঁর কথা শুনে চলছেন। এখানে প্রশাসনের কিছু কিছু আধিকারিকও তাঁর কথা শুনে চলছেন। ভাবতে লজ্জা লাগে। ওই ব্যবসায়ী গ্রামে, শহরে বাড়ি বিক্রি করছেন। এটা মেনে নেব না।’’
যদিও তাঁর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই দাবি করে সোনামুখীর বাসিন্দা তথা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এক জন সাংসদের তথ্য দিয়ে কথা বলা উচিত ছিল। সোনামুখীতে হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের ৭৫ শতাংশই বিজেপি নেতা-নেত্রী। সাংসদ হয়ে তিনি সোনামুখীর মানুষের জন্য কী করেছেন, তার তালিকা আগে প্রকাশ করুন।’’
সৌমিত্র সেখানে বলেন, “যে সব সরকারি আধিকারিক দুর্নীতিতে যুক্ত, তাঁদের নামে থানায় অভিযোগ করা হবে। এই আইন খুব জটিল। পেনশন আটকে যাবে।” বিডিও (সোনামুখী) দেবলীনা সর্দার বলেন, “কে কী বলেছেন, জানি না। এ নিয়ে কিছু বলারও নেই। স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন বিধায়ক। সরকারি আধিকারিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।”
সাংসদ-বিধায়কেরা না পারলেও এলাকার আইএনটিটিইউসি, তৃণমূল নেতারা কোটিপতি হয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সৌমিত্র। তাঁর অভিযোগ, “আমরা সাংসদ-বিধায়কেরা যা করতে পারছি না, এখানকার আইএনটিটিইউসি নেতা, তৃণমূল নেতারা কোটিপতি হচ্ছেন। হচ্ছেন কী করে? শুধু মানুষের টাকা চুরি করে।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, “যে দিন মনে করব, পাবলিককে খেপাতে শুরু করব। সোনামুখীর মানুষ প্রতিশোধ নিতে জানে।” এলাকার বাসিন্দা, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “কারা চুরি করছেন, মানুষ জানে। এর উত্তর মানুষই দেবে।’’