তৃণমূলে যোগ দিলেন বরুণ অঙ্কুর (বাঁ দিকে), সঞ্জীব বাগদি (মাঝে)। — নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারের পর বীরভূম। ভোটের ফল প্রকাশ হতেই ভাঙন বিজেপিতে। তাদের পরিচালিত কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং পঞ্চায়েতের সদস্য যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ফলে বীরভূমের সিউড়ি ১ ব্লকের কড়িধ্যা পঞ্চায়েত হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির।
সোমবার তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জীব বাগদি এবং পঞ্চায়েতের সদস্য বরুণ অঙ্কুর। সঞ্জীব বলেন, ‘‘মানুষকে এত দিন পরিষেবা দিতে পারছিলাম না। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। লাভ হয়নি।’’ বিকাশ জানান, কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের জন্য শীঘ্রই বিডিওর কাছে আবেদন জানাবে তৃণমূল। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং এক সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এখন ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হল ১০ জন। প্রসঙ্গত, গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে ওই কড়িধ্যা পঞ্চায়েতে তৃণমূল আটটি এবং বিজেপি ন’টি আসন পেয়েছিল। বিজেপির দু’জন যোগদানের পর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ১০।
অন্য দিকে, সোমবার সিউড়ি-১ ব্লক কমিটির সদস্য সমীরণ চক্রবর্তীকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বিকাশ জানিয়েছেন, ‘দলবিরোধী’ কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। কড়িধ্যা জেলা বিজেপির ‘শক্ত ঘাঁটি’ হিসাবে পরিচিত ছিল। সেখানে এই ভাঙনের ফলে চাপে বিজেপি। প্রশ্ন উঠেছে, কড়িধ্যার মতো বীরভূম জেলার বাকি পঞ্চায়েতেও কি একই কাণ্ড হবে? অর্থাৎ বিরোধীদের দখলে থাকা পঞ্চায়েতগুলি কি ধীরে ধীরে শাসক দলের হাতে আসবে?
গত শুক্রবার কোচবিহারে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের ‘গড়’ বলে পরিচিত ভেটাগুড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ বিজেপির ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। সিতাইয়ে নবনির্বাচিত সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন। ওই পঞ্চায়েতে সদস্যের সংখ্যা ছিল ১৮। পঞ্চায়েত ভোটে ১২টিতে বিজেপি, ছ’টিতে তৃণমূল জয়ী হয়। দলবদলের ফলে তৃণমূল সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ জন।