—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্য সরকারের গ্রামীণ গৃহনির্মাণ প্রকল্পের উপভোক্তা বাছাইয়ের সমীক্ষার কাজ থেকে অব্যহতি চাইল একটি সরকারি দফতর! বাঁকুড়া জেলার কংসাবতী সেচ ক্যানাল বিভাগের সারেঙ্গা ডিভিশনের (৪) ঘটনা। সারেঙ্গার বিডিওকে কংসাবতী সেচ ক্যানালের সারেঙ্গার ডিভিশনাল অফিসারের (৪) লেখা একটি চিঠিকে তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডলে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ, “ডাক্তারেরা কথা শুনছিলেন না, এ বার ইঞ্জিনিয়ারেরাও নবান্নকে ‘না’ বলছেন! রাজ্য সরকারের শেষের দিন শুরু হয়ে গিয়েছে।” যদিও বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “কী ঘটেছে জানি না। বিজেপি নেতাদের কথাকে কেউ আমল দেয় না।”
বিজেপির পোস্ট করা শুক্রবারের ওই চিঠিতে সেচ আধিকারিককে ব্লক অফিস থেকে পাঠানো চিঠির ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, এই মুহুর্তে সেচ দফতরে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের কাজ চলছে। দফতরের কর্মীরা সেচ ক্যানালে নজরদারি, জলের গতি নিয়ন্ত্রণ, নির্দিষ্ট সময়ে জল ছাড়া-বন্ধ করার মত বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রয়েছেন জানিয়ে, এই পরিস্থিতিতে দফতরের কর্মীদের তুলে নিলে কংসাবতী সেচের আওতায় থাকা বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝড়গ্রাম জেলায় ক্ষতির আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। ২২ জনের মধ্যে ১৯ জন কর্মীকে দেওয়া অসুবিধা রয়েছে জানিয়ে দ্রুত ওই নির্দেশিকা বাতিল করতে বিডিওকে জানানো হয়েছে।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “রাজ্যের মুখ্যসচিব ওই গৃহনির্মাণ প্রকল্পের উপভোক্তা বাছাইয়ের সমীক্ষায় যে কোনও সরকারি দফতর থেকেই কর্মী নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে কোনও বিশেষ দফতর এ নিয়ে আপত্তি তুলতে পারে না। বিষয়টি সারেঙ্গা ব্লক দফতর খতিয়ে দেখছে।”
কংসাবতী সারেঙ্গা ডিভিশনাল অফিসারের (৪) সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। ওই দফতরের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, কর্মী সঙ্কটের জেরে দফতরের কাজ সামলাতে সমস্যা হচ্ছে। সেই বিষয়টিই বিডিওর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। এ নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন সারেঙ্গার বিডিও তমালকান্তি সরকার।