সিউড়িতে ব্যাঙ্কের ভবন। নিজস্ব চিত্র।
আট দশকেরও বেশি সময় ধরে তারা অসংখ্য গ্রাহককে নিরলস পরিষেবা দিয়ে এসেছে। তারই স্বীকৃতি পাচ্ছে বীরভূম কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। এই ব্যাঙ্ককে সম্মাননা জানানো হবে ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।
গত ৯ জুলাই বীরভূমের ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি মারফত সেই খবর জানানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই নয়াদিল্লিতে ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কস ফেডারেশনের একটি জাতীয় স্তরের সম্মেলন মঞ্চে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের হাতে ওই সম্মাননা তুলে দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কোনও অর্থ পুরস্কার নয়। জেলার এই ব্যাঙ্ক পাবে ফলক, শাল-সহ কিছু জিনিস। জাতীয় স্তরের এই সম্মাননা পাওয়ায় খুশি ব্যাঙ্কের কর্মী থেকে শুরু করে আধিকারিকেরা।
১৯৩৪ সালে ৫ নভেম্বর বীরভূমের এই সমবায় ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সেই সময় ব্যাঙ্কের নাম ছিল ল্যান্ড-মর্টগেজ ব্যাঙ্ক। জমিদার অথবা মহাজনদের ঋণের জাল থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার উদ্দেশ্যে এই ব্যাঙ্কের স্থাপনা। যাতে মানুষ ন্যায্য সুদে ঋণ নিতে পারেন। এর পরে সত্তরের দশকে ওই ব্যাঙ্কের নাম হয় বীরভূম কো-অপারেটিভ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। আশির দশকে তা বদলে রাখা হয় বীরভূম এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের থেকে জানা গিয়েছে, ওই ব্যাঙ্কে চারটি বিভাগে ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। সেই তালিকায় রয়েছে কৃষি ও কৃষি সংক্রান্ত, ক্ষুদ্র শিল্প, গৃহঋণ এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য ঋণ। বর্তমানে ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় প্রায় ১০ হাজার।
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮৮ বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্ন পরিষেবা দেওয়া হলেও। বর্তমানে ব্যাঙ্ক লোকসানে চলছে। কারণ ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। প্রায় ৬৫ শতাংশ অনাদায়ী ঋণ রয়েছে ব্যাঙ্কের। মোট লোকসান প্রায় ১৮ কোটি টাকা। তবে কর্মীদের দাবি, ধীরে ধীরে সেই টাকা পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। এর মাঝে এই সম্মান পাওয়ার খবরে খুশি সকলে। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার ঘোষ এবং মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক নইমুর রহমান বলেন, ‘‘এই পুরস্কার ব্যাঙ্কের সব কর্মীর মনে নতুন উদ্দীপনা এনে দিয়েছে।’’