বিকাশ ছুটিতে ফিরবেন কি, প্রশ্ন

মঙ্গলবার থেকে ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন সভাধিপতি। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু সোমবার বলেন, ‘‘ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে দেখিয়ে ছুটি চেয়ে চিঠি লিখেছেন সভাধিপতি। তার একটা প্রতিলিপি পেয়েছি।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share:

বিকাশ রায়চৌধুরী

জেলা পরিষদের সভাধিপতির কাজ থেকে কেন ছ’মাসের ছুটি চাইলেন বিকাশ রায়চৌধুরী, তা নিয়ে সোমবার দিনভর চর্চা চলেছে বীরভূমে।

Advertisement

মঙ্গলবার থেকে ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন সভাধিপতি। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু সোমবার বলেন, ‘‘ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে দেখিয়ে ছুটি চেয়ে চিঠি লিখেছেন সভাধিপতি। তার একটা প্রতিলিপি পেয়েছি।’’

২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথম বার বীরভূমের জেলা পরিষদের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। সেই থেকে সভাধিপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিকাশবাবু। পরপর তিনটি আর্থিক বছরে তাঁর নেতৃত্বাধীন জেলা পরিষদ কাজের নিরিখে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে সেরার পুরস্কার পেয়েছে। সেই বিকাশবাবুর ছুটি চাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতে অনেকেই চমকে গিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, নিজে থেকে ছুটি চাইলেন, নাকি দলই তাঁকে ছুটিতে যেতে বলেছে। বিকাশবাবু স্ত্রীর অসুস্থতা, ছেলের বিয়ে এবং পারিবারিক কারণে ছুটি নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু স্ত্রীর গুরুতর অসুস্থতা কিংবা মায়ের মৃত্যুর পরেও জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যদি দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন, তা হলে স্রেফ পারিবারিক কারণে বিকাশবাবু কেন এত দীর্ঘ ছুটি নিচ্ছেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

Advertisement

এ নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়িয়েছেন অনুব্রত নিজেও। এ দিন বোলপুরে দলের কর্মী সম্মেলনের পরে এই সংক্রান্ত প্রশ্নে জবাবে অনুব্রত জানান, বিকাশবাবু যে ছুটি চেয়েছেন, সেকথা তিনিই জানেন না! এ কথা যদিও মানতে নারাজ দলের নেতা-কর্মীদের বড় অংশ। জল্পনা বেড়েছে এ দিনের কর্মী সম্মেলনে বিকাশবাবুকে দেখা না যাওয়ায়। দলের নেতা-কর্মীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন শুরু হওয়ার পর থেকে সব সম্মেলনেই অনুব্রতের সঙ্গে মঞ্চে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে বিকাশবাবুকে। এ দিন বোলপুরের কর্মী সম্মেলন দিয়ে বিধানসভা ভিত্তিক সেই কর্মসূচি শেষ হয়েছে। অথচ সেখানেই বিকাশবাবু অনুপস্থিত!

চলতি সেপ্টেম্বরেই ব্লক সভাপতিহীন খয়রাশোলের পর্যবেক্ষক পদ থেকে বিকাশবাবুকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় দল। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি খানিকটা কোণঠাসা করা হল তাঁকে? সোমবার বিকাশবাবুর লম্বা ছুটি চাওয়ার পরে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ার সেই জল্পনা আবার ভেসে উঠেছে।

পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী বিকাশবাবুর ছুটি মঞ্জুর হলে তাঁর অবর্তমানে সহকারী সভাপতি নন্দেশ্বর মণ্ডলই দায়িত্ব সামলাবেন। কিন্তু, জেলার রাজনীতিতে এখন একটাই প্রশ্ন, নন্দেশ্বরবাবু তো সাময়িক ভাবে দায়িত্ব সামলাবেন। ছ’মাস পরে কি বিকাশবাবুকে দেখা যাবে সভাধিপতির পদে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement