Satabdi Roy

কেষ্ট-বিহীন বীরভূমে নতুন কোর কমিটি গড়ে দিলেন মমতা, জায়গা হল দু’জন অনুব্রত-‘বিরোধী’র

আগে জেলা তৃণমূলের এই কোর কমিটিতে ছিলেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ এবং রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৫১
Share:

জেল থেকেও অনুব্রত জানিয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা কোনও দাগই কাটতে পারবে না লালমাটির জেলায়। সব আসনে তৃণমূলই জয়ী হবে। —ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোট সামনে রেখে অনুব্রতহীন বীরভূমে নতুন কোর কমিটির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে এই কোর কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল চার। এ বার সেটা হল সাত। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই কোর কমিটিতে জায়গা হল অনুব্রত-‘বিরোধী’ তৃণমূল নেতা কাজল শেখ এবং বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের।

Advertisement

বর্তমানে বীরভূম সফরে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা। সোমবার তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পরেই সামনে আসে নতুন কোর কমিটির খবর। আগে জেলা তৃণমূলের এই কোর কমিটিতে ছিলেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ এবং রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তাতে সংযুক্তি হল শতাব্দী, কাজল এবং বোলপুর লোকসভার সাংসদ অসিত মালের।

গত বছরের অগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত তৃণমূল নেত্রীর স্নেহভাজন কেষ্ট এখন ইডি হেফাজতে। অনুব্রতহীন বীরভূমে সংগঠন ধরে রাখতে বার বার সেখানে শীর্ষ নেতৃত্বকে পাঠিয়েছেন মমতা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই খুঁটি আরও পোক্ত করতে চাইল তৃণমূল।

Advertisement

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এই কোর কমিটিতে শতাব্দী এবং কাজলের অন্তর্ভুক্তি। বীরভূম থেকে তিন তিন বার নির্বাচিত হয়েছেন তারকা সাংসদ শতাব্দী। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে অনুব্রতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অম্লমধুর। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই শতাব্দী এমনও অভিযোগ করেন যে, তাঁকে দলের বহু কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ করা হয় না। কারও নাম না নিলেও শতাব্দীর নিশানা কার দিকে ছিল, তা বুঝতে অসুবিধে হয়নি। অনুব্রতের গ্রেফতারির পর সেই শতাব্দীকেই বার বার দেখা গিয়েছে বীরভূমে। ‘অতীত ভুলে’ এখন অবশ্য অনুব্রতের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি।

অন্য দিকে, নানুরে যথেষ্ট প্রভাবশালী নেতা কাজল শেখ অনুব্রতের ‘বিরোধী গোষ্ঠী’ বলে পরিচিত। সেখানকার আর এক নেতা গদাধর হাজরা অনুব্রতের অনেক বেশি কাছের। নানুরের বাতাসে কান পাতলে শোনা যায় অনুব্রত এবং কাজলের সম্পর্ক ঠিক কেমন। অনুব্রতের গ্রেফতারির পর এই কাজলই সমাজমাধ্যমে একটি কঙ্কালসার সিংহের ছবি দিয়ে লিখেছিলেন ‘‘চেহারা, দাপট, অবস্থান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরস্থায়ী হয় না। দুঃখের বিষয় অনেকেই এটা ভুলে যায়।’’

জেল থেকেও অনুব্রত জানিয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা কোনও দাগই কাটতে পারবে না লালমাটির জেলায়। সব আসনে তৃণমূলই জয়ী হবে। তবে কেষ্টর ‘অবর্তমানে’ সেই জয় হাসিলের ভার তুলে দেওয়া হল তাঁর দুই ‘বিরোধী’ নেতাকেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement