সোমবার ১০০-র বেশি চিকিৎসক পড়ুয়া মেডিক্যাল কলেজে মোদীকে নিয়ে বিবিসি-র তথ্যচিত্রটি দেখেছেন। —প্রতীকী চিত্র।
যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও প্রদর্শিত হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই এই ‘নিষিদ্ধ’ তথ্যচিত্র প্রদর্শনে আপত্তি করা হয়। তাতে অবশ্য পড়ুয়ারা থামেননি। সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে দেখানো হয়েছে গুজরাত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং মোদীকে নিয়ে এই তথ্যচিত্রটি। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও এই তথ্যচিত্রটি ভিড় করে দেখেছেন ছাত্রছাত্রীরা। এর আগে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসেও তথ্যচিত্রটি দেখেন পড়ুয়ারা।
বিবিসির ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সামাজমাধ্যম থেকে তুলে নিতে ইউটিউব এবং টুইটারকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আইটি রুলস্ ২০২১ সালের জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক মোদীকে নিয়ে ডকুমেন্টরির লিঙ্ক তুলে নেওয়ার নির্দেশ জারি করে। তবে প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তা নিয়ে অবশ্য অশান্তিও হয়েছে দিল্লির জেএনইউ থেকে কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে। ছবি দেখাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমারে গ্রেফতারও হয়েছেন বেশ কয়েক জন। তবে কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তেমন ঘটনা ঘটেনি।
সোমবার ১০০-র বেশি চিকিৎসক পড়ুয়া মেডিক্যাল কলেজে মোদীকে নিয়ে বিবিসি-র তথ্যচিত্রটি দেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমসিডিএসএ সংগঠনের পরিচালনায় ছবির প্রদর্শন হয়। এ নিয়ে চিকিৎসক পড়ুয়া অনিকেত কর বলেন, ‘‘এখানে সবেতেই নিষেধাজ্ঞা। কলেজে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না এই কর্তৃপক্ষ। ছবি দেখানো হবে কি না, সেখানেও সেই একই ব্যাপার। তবে আমরা নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করেই ছবিটি দেখেছি।’’
এর আগে সরস্বতী পুজো এবং প্রজাতন্ত্র দিবসে, বৃহস্পতিবার ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পরের দিন শুক্রবার, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই তথ্যচিত্র দেখানোর কথা ছিল। এসএফআইয়ের অভিযোগ, তথ্যচিত্র শুরু হওয়ার আধ ঘণ্টা পরেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে অবশ্য প্রদর্শিত হয় তথ্যচিত্রটি।