তারাপীঠের মন্দির। —ফাইল চিত্র।
কৌশিকী অমাবস্যার সময়ে তারাপীঠে যাতায়াতের জন্য অটো ও ট্রেকার চালকদের প্রশাসন নির্ধারিত ভাড়াই নিতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া চাইলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনই জানাল বীরভূম জেলা প্রশাসন।
কৌশিকী অমাবস্যা নিয়ে শনিবার রামপুরহাট মহকুমাশাসকের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষের বৈঠকে জেলাশাসক বিধান রায় অটো ও ট্রেকার চালকদের ভাড়ার বিষয়ে সতর্ক করে দেন। জেলাশাসক বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসন যে ভাড়া ঠিক করে দেবে, সেই নির্দিষ্ট ভাড়া যেন অটো ও ট্রেকার চালকেরা নেন।’’ ভাড়া নিয়ে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে কোনও রকম অভিযোগ পেলে পুলিশ প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জেলাশাসক জানান।
কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে তারাপীঠের ভিতর দিয়ে যাওয়া রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রাস্তায় রামপুরহাট-সাঁইথিয়া বা রামপুরহাট-বুধিগ্রাম রুটের বাস চলাচল বন্ধ থাকে। রামপুরহাট স্টেশন এবং রামপুরহাট বাস স্ট্যান্ড থেকে একমাত্র অটো, ট্রেকারে যাতায়াত করা যায়।
তারাপীঠে আসা পুণ্যার্থীদের অভিযোগ, অটো ও ট্রেকার চালকেরা অনেকেই এই সময়ে বেশি রোজগারের আশায় অতিরিক্ত ভাড়া চেয়ে বসেন। এই নিয়ে ভাড়া নিয়ে অটো, ট্রেকার চালকদের সঙ্গে দর্শনার্থীদের গণ্ডগোলও বাধে প্রায় প্রতি বছর। তা ঠেকােতই উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
গত বছর কৌশিকী অমাবস্যার সময় রামপুরহাট স্টেশন থেকে তারাপীঠ পর্যন্ত অটো ভাড়া যাত্রী পিছু ৪০ টাকা এবং ট্রেকারে যাত্রী পিছু ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল পুলিশ প্রশাসন। এ বছর এখনও পর্যন্ত ভাড়া ঠিক হয়নি। শনিবারের বৈঠকে অটো ও ট্রেকার মালিক সমিতির ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার আশ্বাস দেন তাঁরা।