সার দিয়ে রাখা উদ্ধার করা বাইকগুলি। নিজস্ব চিত্র
বাঁকুড়ায় লাগাতার বাইক চুরির রহস্য ফাঁস করল পুলিশ। পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন ওই চুরি চক্রের পাণ্ডা। তাঁকে জেরা করে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি বাইকও। ওই পাচার চক্রে আর কেউ যুক্ত কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বাঁকুড়ায় বেশ কিছু দিন ধরেই একের পর এক বাইক চুরির ঘটনা ঘটছিল। তার তদন্তে নেমে সম্প্রতি বিধান ঘোষ নামের এক ব্যক্তির সন্ধান পায় পুলিশ। বাঁকুড়া সদর থানার করণজোড়া গ্রামের বাসিন্দা বিধানকে রবিবার তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাঁকুড়া সদর, ছাতনা এবং বেলিয়াতোড়ে তিনটি গোপন ডেরার সন্ধান পান তদন্তকারীরা। ওই তিনটি জায়গায় হানা দিয়ে মোট ২৪টি বাইক উদ্ধার হয়।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর একত্রিশের বিধান গত তিন বছর ধরে বাইক চুরিতে হাত পাকিয়েছেন। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, বিধানের অধীনে দু’টি দুষ্কৃতী দল কাজ করত। এক দল লোক বাজার অথবা বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে রাখা বাইক মাস্টার কি-র সাহায্যে খুলে নিমেষে চম্পট দিত। সেই বাইক নিয়ে গিয়ে রাখা হত বাঁকুড়া, ছাতনা এবং বেলিয়াতোড়ের গোপন ডেরায়। অপর দুষ্কৃতী দলটি এই চোরাই বাইকগুলি নিয়ে গিয়ে সরাসরি বিক্রি করত বিভিন্ন জায়গায়। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের দাবি, ধৃত শুধু এই জেলাতেই নয়, পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও তার কারবারের জাল ছড়িয়েছিলেন। বিক্রির আগে চোরাই বাইকগুলির জাল নথি তৈরি করা হত কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘পুজোর ঠিক আগেই বাঁকুড়ার মেজিয়ায় একটি বাইক পাচার চক্র পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু চোরাই বাইক এবং টোটো উদ্ধার করা হয়েছিল। পুজোর পরে আরও একটি বাইক পাচার চক্রের সন্ধান মিলল। চোরাই বাইকগুলির আসল মালিকের সন্ধান করে আমরা তাঁদের হাতে সেগুলি তুলে দেব।’’