মাড়গ্রাম রওনা হচ্ছেন নতুন পুলিশ সুপার। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
দায়িত্ব নিয়েই মাড়গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিলেন বীরভূমের নতুন পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তিনি সিউড়ি আসেন। জেলায় ঢুকেই তিনি সরাসরি সিউড়িতে পুলিশ সুপারের দফতরে ঢোকেন এবং পুলিশ সুপার হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন। পাশাপাশি, দফতরে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ জেলার একাধিক পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনাও করেন তিনি। পুলিশ জানায়, তার পরেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নিয়ে তিনি মাড়গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নিয়ে মাড়গ্রাম যাচ্ছি। এখনই আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি দেখে আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব।’’
ভাস্কর মুখোপাধ্যায় তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার ছিলেন। ঘটনাচক্রে বীরভূমের সদ্য প্রাক্তন পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে যে দিন সরানোর নির্দেশ দেওয়া হল, সেই শনিবার রাতেই মাড়গ্রামের ধূলফেলা মোড়ের কাছে হাসপাতাল পাড়ায় বোমা নিয়ে হামলা হয় মাড়গ্রাম ১ পঞ্চায়েত প্রধান মহুবুল শেখের ভাই লাল্টু শেখ ও তৃণমূল কর্মী নিউটন শেখের উপরে। শনিবার নিউটন এবং রবিবার কলকাতার এসএসকেএম লাল্টু মারা যান। এ দিন লাল্টুর দেহ গ্রামে নিয়ে আসা হয়।
দুই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। কোনও রকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাড়গ্রামে পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মাড়গ্রাম থানায় জেলা থেকে পুলিশকর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় জানান, মাড়গ্রাম ধূলফেলা মোড় এলাকায় আপাতত কয়েক দিনের জন্য র্যাফের ২৪ জন কর্মীকে দিনরাত রাখা হয়েছে। মাড়গ্রামের ভিতরে পুলিশের তিনটি মোবাইল ভ্যানে টহলদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, নিহত তৃণমূল কর্মী নিউটন শেখের স্ত্রী ফেরদৌসি বিবি মাড়গ্রাম থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অন্যান্যদের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ডো়ড়া মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।