এই প্রথম বার শান্তিনিকেতন সফরে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বাংলা এবং বাঙালিয়ানায় মুগ্ধ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সে কথা নিজমুখে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তাঁর বাংলা ভাষাপ্রীতির কথাও। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনে রাষ্ট্রপতির ভোজের জন্য থাকছে বাঙালি পদ। তাতে যেমন পোস্তর বড়া, মুগের ডাল থাকবে, তেমনই থাকছে পনির এবং মাশরুমও। তবে সব পদই নিরামিষ।
মঙ্গলবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ শিক্ষাবর্ষে উর্ত্তীর্ণ পড়ুয়াদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। বস্তুত, রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাঙামাটির জেলায় এটাই মুর্মুর প্রথম সফর। তাই আয়োজন এবং আপ্যায়নে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না প্রশাসন এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জোরদার হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সমাবর্তনের অনুষ্ঠান ঘিরে তৈরি একাধিক ‘ড্রপ গেট’, বিশেষ ক্যামেরা দিয়ে নজরদারির ব্যবস্থা। রাষ্ট্রপতির সচিবালয় সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি শান্তিনিকেতনে পৌঁছবেন দুপুর ১২টা নাগাদ। নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে বিনয় ভবন মাঠ সংলগ্ন এলাকাকে নো-ফ্লাইং-জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ড্রোন, বেলুন জাতীয় কিছু ওড়ানো বা ওড়ানোর চেষ্টা করলেই বড় পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জানা গেল রাষ্ট্রপতির জন্য আয়োজন করা মধ্যাহ্নভোজের রকমারি পদের কথা। জানা গিয়েছে, মুর্মুর জন্য দুপুরের খাবারে থাকছে ভাত, দেশি ঘি, পোস্তর বড়া। সঙ্গে অবশ্যই কয়েক রকম ভাজাভুজি। তবে রান্নায় পেঁয়াজ, রসুন নৈব নৈব চ। পাতে থাকবে রকমারি সব্জির পদ, মুগের ডাল, পনির, মাশরুম এবং পাঁপড়। রকমারি বাঙালি পদের সঙ্গে থাকবে বেশ কয়েক’টি বিদেশি নিরামিষ পদও।
মধ্যাহ্নভোজের পর মঙ্গলবার আড়াইটে নাগাদ রবীন্দ্র ভবনের উদয়ন, কোণার্ক, শ্যামলী, পুনশ্চ, উদীচি— রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য এই পাঁচটি বাড়ি পরিদর্শনের পর কলাভবন ঘুরে দেখবেন রাষ্ট্রপতি। দুপুর ৩টেয় আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবির রেপ্লিকা তুলে দেওয়া হবে রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের হাতে। শান্তিনিকেতনের উপজাতি সংগঠনের প্রতিনিধিরা জনজাতীয় রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে বরণ করতে ও সংবর্ধনা দিতে আগ্রহী ছিলেন। তবে অনুমতি না মেলায় জনজাতীয় রীতি অনুযায়ী বরণ হচ্ছে না।