BDO MID DAY MEAL

স্কুল দেখতে গিয়ে তাজ্জব বিডিও

শনিবার স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষিকা গরহাজির থাকেন বলে সে দিন মিড-ডে মিল বন্ধ রাখা হয়। পড়ুয়াদের কাছ থেকে এমনই অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঘমুণ্ডি শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:২৭
Share:

তদন্ত: শনিবার বাঘমুণ্ডি গার্লস হাইস্কুলে। নিজস্ব চিত্র

শনিবার স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষিকা গরহাজির থাকেন বলে সে দিন মিড-ডে মিল বন্ধ রাখা হয়। পড়ুয়াদের কাছ থেকে এমনই অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন।

Advertisement

পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারের নির্দেশে শনিবার বাঘমুণ্ডি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শনে গেলেন বিডিও (বাঘমুণ্ডি)-সহ ব্লক প্রশাসনের দল। প্রশাসন সূত্রে খবর, বেশ কিছু বিষয়ে বেনিয়ম ধরা পড়ায় ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা-সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষিকাকে শোকজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জেলাশাসক এ দিন বলেন, ‘‘ওখানে যা হচ্ছে, তা চলতে পারে না। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) ওই শিক্ষিকাদের শোকজের পাশাপাশি উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমিও বিডিওর কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি।’’

Advertisement

এই জেলায় মিড-ডে মিল রান্না নিয়ে অভিযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিশেষ করে জেলার বেশ কিছু স্কুলে শনিবার মিড-ডে মিল রান্না হয় না বলে অভিযোগ। তবে বাঘমুম্ডির ওই স্কুলটিতে অভিযোগ গুরুতর। অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই স্কুলে শনিবার কার্যত ছুটির দিন হয়ে উঠেছে। সে দিন নামমাত্র স্কুল খুলে তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন বিডিওর নেতৃত্বে বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রশাসনের দল ওই স্কুলে তদন্তে গিয়ে দেখেন, এক শিক্ষিকা দীর্ঘ দু’বছর ধরে গরহাজির থাকলেও হাজিরা খাতায় তার সাক্ষর রয়েছে। স্কুলে এ দিন খুঁজেও পাওয়া যায়নি মিড-ডে মিল রান্নার খাতা। বিডিও (বাঘমুণ্ডি) উৎপল দাস মোহরী বলেন, ‘‘আজব কাণ্ড! ওই স্কুলে গিয়ে যা দেখলাম, তাতে মনে হল, শনিবার দিনটিকে কর্তৃপক্ষ ছুটির দিন তৈরি করে ফেলেছেন। আরও কিছু বেনিয়মের ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে। জেলাশাসকের কাছে তা রিপোর্ট আকারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’

সম্প্রতি ওই স্কুলের কন্যাশ্রীদের পক্ষ থেকে জেলাশাসককে নালিশ জানানোর পরেই এ দিন তিনি ওই স্কুলে পরিদর্শনে পাঠান বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রশাসনকে। তারপরেই ওই স্কুলের একের পর এক বেনিয়ম একেবারে সামনে চলে আসে বলে অভিযোগ। ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রূপা মেহেতার সঙ্গে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি ছুটিতে রয়েছি। শনিবার পড়ুয়ার সংখ্যা কম থাকে বলে সে দিন মিড-ডে মিল রান্না না করে শুকনো খাবার দেওয়া হয়।’’ অন্য অভিযোগগুলির বিষয়ে সে ভাবে কিছু বলতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement