VisvaBharati University

প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সফরের দিন মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র দেখানোর আয়োজন শান্তিনিকেতনে, শোরগোল!

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান রয়েছে। তার আগের দিন সন্ধ্যায় বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:২৯
Share:

যে দিন শান্তিনিকেতনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার আসছেন, সে দিনই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ডিএসএ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হয়েছে বিবিসির ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’। কোনও ঝামেলা ছাড়াই তা দেখেছেন কয়েকশো পড়ুয়া। কিন্তু বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী হবে, এই খবর চাউর হতেই শুরু হয়েছে শোরগোল। কারণ, যে দিন শান্তিনিকেতনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার আসছেন, সে দিনই মোদী এবং গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে তৈরি ওই তথ্যচিত্র দেখানোর আয়োজন করেছে ছাত্র সংগঠন ডিএসএ।

Advertisement

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান রয়েছে। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৩ ফেব্রুয়ারিই শান্তিনিকেতন পৌঁছে যাওয়ার কথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা শান্তিনিকেতনে থাকাকালীনই মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর বন্দোবস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ছাত্র সংগঠন ‘ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন’। ইতিমধ্যে তার প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যেরা। জানানো হয়েছে, ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় রতনপল্লির নিমতলা মাঠে দেখানো হবে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কেয়েশ্চন’। এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়েছে শান্তিনিকেতনে। ইতিমধ্যে প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। বীরভূমের বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সফরকালে নকশালপন্থী সংগঠনগুলি মোদীজিকে নিয়ে বিতর্কিত তথ্যচিত্র দেখানোর আয়োজন করেছে। একই কায়দা দিয়ে জেএনইউতেও বিক্ষোভ করতে চেয়েছিলেন মেকি বামপন্থীরা। তবে মানুষ এ সব কাজে প্রভাবিত হয় না।’’

যদিও ডিএসএ-র দাবি, তাদের এই ‘কর্মসূচি’ পূর্ব নির্ধারিত। বেশ কিছু কারণে তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। ডিএসএর মুখপাত্র শুভ নাথ বলেন, ‘‘রাজনাথ সিংহের আসার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। গোটা বিষয়টিই কাকতালীয়। ইতিমধ্যেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই এই তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। গুজরাত হিংসা সম্পর্কিত নানা তথ্য এই তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। ওই ঘটনা নিয়ে আসল তথ্য আমরা সকলের সামনে তুলে ধরতে চাইছি। সমাবর্তন যেখানে হবে সেখান থেকে অনেক দূরে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement