বড়ন্তি জলাধারের একাংশ ঢেকেছে কচুরিপানায়। ছবি: সঙ্গীত নাগ।
ওই দূরে সবুজে ঢাকা পাহাড়, তার কোলে নীল জলাধার। এমনই শান্ত, স্নিগ্ধ সাঁতুড়ির বড়ন্তি। কিন্তু এ হেন পিকচার পারফেক্ট দৃশ্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে কচুরিপানার স্তূপ। নীলাভ জলাধারের একাংশ রয়েছে পচে যাওয়া পানার কব্জায়। জলাধারের সৌন্দর্য্যেও আঁচড় পড়ছে তাতে। আক্ষেপ বাড়ছে পর্যটক মহলে। স্থানীয়রা বলছেন, পানা ভরা জলাধার দেখে হতাশ হয়ে পড়ছেন পর্যটকরা। নীল জলে সোনা গলানো সূর্যাস্তের ছায়া দেখা যাচ্ছে না পানার আড়াল থেকে, খানিকটা আক্ষেপ করেই জানান রঘুনাথপুরের দুর্গাশঙ্কর মুখোপাধ্যায়, আদ্রার চিত্তরঞ্জন মিশ্রের মতো পর্যটকরা।
গত কয়েক বছরে পুরুলিয়া জেলার সাঁতুড়ির বড়ন্তিতে পর্যটন ব্যবসা জমে উঠেছে বেশ। বড়ন্তিতে এখন ৩৫টি অতিথি নিবাস রয়েছে। কিন্তু সবের ছন্দ কাটছে জলাধার জুড়েই ভেসে থাকা পানার স্তূপ। জলের ধারে বসে প্রকৃতি উপভোগ করার সব পরিকল্পনা একপ্রকার জলেই যাচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ কুম্ভকার জানান, মূলত পর্যটনের মরসুমেই কচুরিপানার সমস্যা তৈরি হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এমনকি পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকেও পর্যটকরা আসেন বড়ন্তিতে। সকলেরই আক্ষেপ কচুরিপানার জন্য জলাধারের সৌন্দর্য্য নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন প্রত্যেকেই।
সাঁতুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রামপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান, পানার সমস্যা তাঁদের নজরেও এসেছে। কিন্তু পানা পরিষ্কার করার মতো পরিকাঠামো পঞ্চায়েত সমিতির নেই। রামপ্রসাদ বলেন, “এই কাজে আমরা সেচ দফতরের সাহায্য চাইছি।” কবে পানা সরিয়ে জলাধারের রূপ ফিরবে সেদিকেই তাকিয়ে বড়ন্তির পর্যটন মহল।