প্রতীকী ছবি।
খড়্গপুর থেকে মোরগ্রাম পর্যন্ত প্রস্তাবিত এক্সপ্রেসওয়ে ছুঁয়ে যাবে বাঁকুড়া জেলার একাংশকেও। ওই সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের জন্য বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যে প্রস্তাব জমা দিয়েছে ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে অথারিটি অব ইন্ডিয়া’ (এনএইচএআই)।
এনএইচএআই-এর খড়্গপুর ডিভিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সুব্রত নাগ বলেন, “এই রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের রূপরেখা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের কাছে আমরা জমি অধিগ্রহণ করার জন্য প্রস্তাব জমা দিয়েছি। সে কাজ দ্রুত শেষ করে সড়ক নির্মাণ শুরু করাই আমাদের লক্ষ্য।’’ বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
এনএইচএআই সূত্রের খবর, মূলত উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে চার লেনের শিলিগুড়ি-খড়্গপুর ‘ইকনমি করিডর’ গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। শিলিগুড়ি থেকে বীরভূমের মোরগ্রাম পর্যন্ত সড়ক তৈরি হয়ে রয়েছে। প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে খড়্গপুর থেকে মোরগ্রাম পর্যন্ত নতুন সড়ক তৈরি করা হচ্ছে এই প্রকল্পে। এর মধ্যে বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর ও ইন্দাস ব্লকের উপরে প্রায় ২২ কিলোমিটার রাস্তা গড়া হবে এই প্রকল্পে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোতুলপুরের লক্ষ্মণহাটি, তাজপুর, হলদি, পূর্ব নারায়ণপুর, ইন্দাসের বাঁকি, ছোটগোবিন্দপুর, আদিলপুর, বামনিয়ার মতো বিভিন্ন গ্রাম লাগোয়া এলাকা দিয়ে রাস্তাটি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইন্দাস ব্লকে দ্বারকেশ্বর নদের উপরে একটি সেতুও তৈরি করা হবে এই প্রকল্পে। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‘২০১৯ সালে যখন ওই রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা হচ্ছিল, তখনই কেন্দ্রের কাছে আমি চিঠি দিয়ে রাস্তাটি জয়রামবাটী ছুঁয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। কেন্দ্র সে আবেদনে সাড়া দিয়ে কোতুলপুর ও ইন্দাস ব্লকের উপর দিয়ে বর্ধমান বাইপাসের সঙ্গে রাস্তাটি যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘এই রাস্তা তৈরিতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বাঁকুড়ার যোগাযোগ আরও সহজ হতে চলেছে। কৃষিজ পণ্যের আদানপ্রদানে সুবিধা হওয়ায় বহু চাষি উপকৃত হবেন। জেলায় পর্যটন ও শিল্পের প্রসারেও বড় ভূমিকা নেবে এই সড়ক।’’
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘‘চার লেনের ওই সড়ক তৈরি হলে মানুষ উপকৃত হবেন। তবে উপযুক্ত পরিকল্পনার মাধ্যমে, প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রকল্পটি রূপায়ণ করার দাবি জানাচ্ছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার মানুষকে সুবিধা করে দিতে নানা প্রকল্পের আশ্বাস দিয়েও, সে সব কার্যকর করতে পারেনি। এই প্রকল্পটিও সে তালিকায় চলে না গেলেই হল।’’