আদ্রার স্বর্গদ্বার সরোবরে। নিজস্ব চিত্র
ছটপুজোতেও শব্দবাজির হাত থেকে রেহাই মিলল না। রবিবার ছটপুজোর প্রথম পর্বে বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদীচরে পুজো উপলক্ষে সমবেত হয়েছিলেন অসংখ্য পুণ্যার্থী। ডালা নিয়ে অস্তগামী সূর্যের উদ্দেশে অর্ঘ্য দেন তাঁরা। তবে এর মধ্যেই দাপটে ফেটেছে শব্দবাজি। যদিও স্থানীয়দের দাবি, শব্দবাজির দাপট ছিল অন্য বছরের তুলনায় কমই। বাঁকুড়ার লোকপুরে দ্বারকেশ্বরের চরেও ফেটেছে শব্দবাজি।
জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানান, পুজোর আগে থেকেই নানা জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। জেলা পুলিশের তরফে প্রচারও চালানো হয়েছে। তার পরেও যাঁরা বাজি ফাটিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ হবে।
এ দিন বিকেলে দুর্গাপুর ব্যারাজে দামোদরে ছটপুজোর ঘাট পরিদর্শনে যান বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাজল পোড়েল, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কালিদাস মুখোপাধ্যায়। পুজো দিতে আসা মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ছটপুজো উপলক্ষে বিষ্ণুপুরের পোকাবাঁধেও স্থানীয় পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়েছিল। পুরসভার তরফে বাঁধের উত্তর পাড় ফুল-আলোয় সাজানো হয়। শব্দবাজি না ফাটলেও সাউন্ড বক্সের দাপট ছিল। সেখানে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
শব্দবাজির তেমন উপদ্রব তবে ছিল না পুরুলিয়ায়। সন্ধ্যার পরে বিক্ষিপ্ত ভাবে অল্প কিছু বাজির আওয়াজ মিললেও তা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যায়নি, দাবি মানুষের। এ দিন বিকেলে শোভাযাত্রা-সহ অর্ঘ্য দিতে পুণ্যার্থীরা পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহেব বাঁধে জড়ো হন। বুচাবাঁধ, রাজাবাঁধ ও কংসাবতী নদীতেও অনেকে অর্ঘ্য দেন। বুচাবাঁধে স্থানীয় ছটপুজো কমিটির উদ্যোগে সূর্যদেবের একটি মণ্ডপের সূচনা করেন সমাজকর্মী শান্তিরাম মাহাতো। ছিলেন কাউন্সিলর বৈদ্যনাথ মণ্ডল ও পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ও।
ভিড় উপচে পড়েছিল নিতুড়িয়ার পারবেলিয়ায় দামোদরের ঘাটেও। আদ্রার স্বর্গদ্বার সরোবরেও প্রচুর মানুষ অর্ঘ্য দিতে ভিড় জমান। কাশীপুরের দ্বারকেশ্বরের ঘাট, তুলিনের সুবর্ণরেখার ঘাট ও আনাড়াতেও অর্ঘ্যদানে ভিড় চোখে পড়েছে।
ছটপুজো ঘিরে প্রায় সব জায়গাতেই ছিল পুলিশি নিরাপত্তা। স্থানীয় ছটপুজো কমিটিগুলির স্বেচ্ছাসেবকেরাও ভিড় সামলাতে পথে নামেন। রাজনৈতিক দলের কর্মীদেরও শিবির করে পুণ্যার্থীদের সহায়তা করতে দেখা গিয়েছে।