দুয়ারে রোগী: বৃহস্পতিবার বেলা ১২টাতেও চিকিৎসকের দেখা নেই। বাঁকুড়া মেডিক্যালের বহির্বিভাগে অপেক্ষায় রোগিণী। ছবি: অভিজিৎ সিংহ।
আন্দোলন চলছে। কাজও চলছে। তবে সরকারি খাতায় হাজিরা নেই। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতরের চিঠির উত্তর কী দেওয়া যায়, বিড়ম্বনায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই কর্মবিরতি ও ধর্না-অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন বাঁকুড়া মেডিক্যালের পড়ুয়া চিকিৎসকেরা। তবে আন্দোলন শুরুর কয়েক দিন পরে থেকে সিনিয়র চিকিৎসকদের আহ্বানে রেজিস্টার খাতায় হাজিরা না দিয়েই চিকিৎসা পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তবে সেই সময়সীমার মধ্যেও আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজে যোগ দেননি আন্দোলনকারীরা। সেই নির্দেশের উল্লেখ করে স্বাস্থ্যভবন চিঠি দিয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যালের কাছে কত জন পড়ুয়া চিকিৎসক কাজে যোগ দিয়েছেন, আর কত জন কাজ না করে আন্দোলন করে যাচ্ছেন, সেই সংখ্যা জানতে চেয়েছে। ওই চিঠির উত্তরে কী দেওয়া যায়, ভাবনায় হাসপাতাল কর্তারা। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়া চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনাও করছেন হাসপাতাল কর্তারা। হাসপাতালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “পড়ুয়া চিকিৎসকেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকই। তবে তাঁরা কাজও করছেন। সরকারি খাতায় হাজিরা না দিলেও যে যার নিজের রুটিনমতো ইনডোর, আউটডোরে ডিউটি করছেন। কাজ শেষ হলে অবস্থান মঞ্চেও বসছেন। তাই স্বাস্থ্য ভবনের চিঠির উত্তর কী দেওয়া যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথাও হয়েছে।”
আন্দোলনকারীরা জানান, কেন্দ্রীয় ভাবে আন্দোলন তোলা ও আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি হাজিরা খাতায় তাঁরা সই করবেন না। তবে কেউই কর্তব্যে গাফিলতি করছেন না বলেও দাবি তাঁদের। তাঁরা বলেন, “আন্দোলন ও বিচারের দাবি থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্ন নেই। আমরা কেউ কর্তব্যে গাফিলতি করিনি। হাজিরা খাতায় সই না করলেও সকলেই কাজ করে চলেছি। তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও অস্বীকার করতে পারবে না।”