100 Days Work

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মধ্যেই মজুরি দেওয়ার প্রস্তাব

ইতিমধ্যে প্রত্যেক শ্রমিকের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বকেয়া মজুরির পরিমাণের তালিকা তৈরি করে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরে পাঠিয়েছে জেলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৪:৪৪
Share:

মুখ্যমন্ত্রী আসবেন খাতড়ার খড়বন মাঠে। প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতে মাঠের মাপজোক করা হল। ছবি শুভেন্দু তন্তুবায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের মধ্যেই শ্রমিকদের একশো দিন কাজের বকেয়া মজুরি মেটাতে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরকে প্রস্তাব দিল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রের দাবি, রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের এ নিয়ে কথা হয়েছে। তবে শুক্রবার পর্যন্ত পঞ্চায়েত দফতরের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত আসেনি। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছেন, ১ মার্চ রাজ্যের শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁদের বকেয়া মজুরি জমা পড়বে। তবে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের ইচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মধ্যেই জেলার বেশির ভাগ শ্রমিককে তাঁদের বকেয়া মজুরি দেওয়া গেলে ভাল হয়।

বাঁকুড়ার জেলা শাসক সিয়াদ এন শুক্রবার বলেন, “শ্রমিকদের তথ্য-সহ তালিকা তৈরি করে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হয়েছে। রাজ্য টাকা দিলেই যাতে সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে তাঁদের প্রাপ্য মজুরি জমা পড়ে যায়, সে জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছি আমরা।”

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলায় প্রায় ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার জন একশো দিন কাজের প্রকল্পের শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের বকেয়া মজুরির পরিমাণ প্রায় ১০৪ কোটি টাকা।

ইতিমধ্যে প্রত্যেক শ্রমিকের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বকেয়া মজুরির পরিমাণের তালিকা তৈরি করে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরে পাঠিয়েছে জেলা। বিভিন্ন সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়া সফর সেরে বাঁকুড়ায় আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরের দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি খাতড়ায় সরকারি সুবিধা প্রদান ও প্রশাসনিক সভা করার কথা তাঁর।

এ দিকে প্রতিটি শ্রমিক যাতে তাঁদের প্রাপ্য মজুরি পায় সেই দাবিতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ শুরু করেছে সিপিএম। তৃণমূলের সহায়তা শিবিরে শ্রমিকদের তথ্য জমা নেওয়ার বিরোধিতাও করছেন তাঁরা। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য সুজয় চৌধুরী বলেন, “আমরা একশো দিনের শ্রমিকদের ঘরে ঘরে গিয়ে যোগাযোগ করছি। প্রত্যেককে জানাচ্ছি, কেউ প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হলে আমরা পাশে থাকব।”

তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের সহায়তা শিবিরে অনেক ভুয়ো শ্রমিকের তথ্য জমা পড়ছে। কোনও ভুয়ো শ্রমিক যাতে মজুরি না পান, সে দিকেও তাঁরা নজর রাখবেন।

সে অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “কেন্দ্র দু’বছরেরও বেশি সময় একশো দিন কাজের প্রকল্পে শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি আটকে রেখেছে। অথচ সিপিএম কোনও আন্দোলনই করেনি। ওরা কি এতদিন শীতঘুমে ছিল? এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিকদের মজুরি মেটাতে উদ্যোগী হতেই সিপিএম নানা অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে সিপিএম।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement