ভিত্তিপ্রস্তর। নিজস্ব চিত্র।
মায়ের স্মৃতিতে লাভপুরে মুক্তমঞ্চ গড়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ প্রবীরকুমারসরকার। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার। সম্প্রতি তাঁর মা করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার পিজি হাসপাতালে মারা যান। প্রবীরবাবু এবং তাঁর বোন, ঢাকা গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিকও করনোয় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে ভাই-বোনের পক্ষে মায়ের মৃত্যু পরবর্তী পারলৌকিক কাজকর্ম করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই প্রবীরবাবু ওই সব কাজকর্মের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা বিকাশের জন্য মায়ের স্মৃতিতে কিছু করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন
পূর্ব মেদিনীপুরের ভাষা এবং সংস্কৃতি পরিষদের কর্ণধার কৃষ্ণেন্দু বেরার কাছে। কৃষ্ণেন্দু ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী নিয়ে কাজ করেন। তিনি প্রবীরবাবুদের পরিবারের ঘনিষ্ঠও। সেই সুবাদে তিনি প্রবীরবাবুকে লাভপুরে একটি মুক্তমঞ্চ গড়ার প্রস্তাব দেন। প্রবীরবাবু সানন্দে সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানান।
পারলৌকিক কাজের জন্য লাভপুরে বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী এবং ফুল্লরাতলাকে বেছে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার লাভপুরে, সংস্কৃতি বাহিনীর মঞ্চে প্রবীরবাবুর মা অনিতা দেবীর স্মরণে একটি প্রার্থনাসভা, ফুল্লরাতলায় দুঃস্থদের খাওয়ানোর পাশাপাশি সংস্কৃতিমঞ্চ পরিচালিত নাট্যগুরুকুলে একটি মুক্তমঞ্চের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। কৃষ্ণেন্দু বলেন, ‘‘প্রবীরবাবু সাহিত্য-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক। তাই তাঁরই ইচ্ছানুসারে মুক্তমঞ্চ গড়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়। সংস্কৃতি বাহিনী নবীন নাট্যকর্মীদের নিয়ে গুরুকুলে কিছু কাজ করতে চলেছে। তাই সেখানেই মুক্তমঞ্চ গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
প্রবীরবাবুর কথায়, ‘‘মা খুব সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ ছিলেন। সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার জন্য ভারত-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কেউ বাড়িতে এলে তিনি সানন্দে তাঁদের আপ্যায়ন করতেন।’’ বীরভূম সংস্কৃতিবাহিনীর কর্ণধার উজ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই মুক্তমঞ্চ আমাদের নাট্যচর্চার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।’’