বান্দোয়ানে অভিযোগ আধিকারিক নিগ্রহের

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের রেশন ডিলার কৃষ্ণপদ মাহাতো রেশনে কেরোসিন দিতেন না। দাবি করতেন, কেরোসিন আসেনি। কখনও দিলে তা-ও পরিমাণে কম থাকত। প্রতিবাদ করলে উল্টে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৭ ০২:০০
Share:

বিডিও-কে ঘটনার বিবরণ দিচ্ছেন তাপসবাবু (বসে)। নিজস্ব চিত্র

রেশন নিয়ে গোলমালের জেরে খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিককে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল। সোমবার বান্দোয়ানের ঘটনা।

Advertisement

এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ বান্দোয়ান ব্লকের খাদ্য আধিকারিক তাপস লাহা বিডিও-র চেম্বার থেকে বেরিয়ে ওই চত্বরে নিজের অফিসে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, এই সময়ে অফিস চত্বরে অপেক্ষা করে থাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ তাপসবাবুকে তাড়া করেন। কয়েক জন তাঁকে ধাক্কা মারেন বলেও অভিযোগ। আত্মরক্ষা করতে তাপসবাবু নিজের অফিসে ছুটে যান। সেখানেও বিক্ষুব্ধরা তাঁকে তাড়া করেন বলে তিনি এ দিন অভিযোগ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের রেশন ডিলার কৃষ্ণপদ মাহাতো রেশনে কেরোসিন দিতেন না। দাবি করতেন, কেরোসিন আসেনি। কখনও দিলে তা-ও পরিমাণে কম থাকত। প্রতিবাদ করলে উল্টে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে এক সময়ে ওই রেশন ডিলারকে বয়কট করা হয়েছিল। মাস দুয়েক আগে তাঁরা অন্যে ডিলারের থেকে রেশন নিতে চেয়ে দরখাস্ত করেছিলেন।

Advertisement

ওই দরখাস্তের ভিত্তিতে খাদ্য আধিকারিক কিছু গ্রাহককে পাশের পারবাইদ গ্রামের রেশন ডিলারের কাছ থেকে রেশন নেওয়ার জন্য কার্ডে লিখে দিয়েছিলেন বলে বিক্ষুব্ধদের দাবি। কিন্তু ওই ডিলারের কাছে গিয়ে কৃষ্ণপদর কাছেই তাঁদের রেশন যাচ্ছে বলে জানতে পারেন তাঁরা। সেসই ব্যাপারেই খোঁজখবর নিতে এ দিন খাদ্য আধিকারিকের কাছে তাঁরা গিয়েছিলেন বলে দাবি করছেন।

খাদ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই গ্রামের সাড়ে পাঁচশো গ্রাহকের নাম এত তাড়াতাড়ি অন্য ডিলারের সাথে যুক্ত করা সম্ভব নয়। কিন্তু বাসিন্দারা আমার কথা শুনতে চাইছিলেন না। সোমবার চত্বরের মধ্যে আমাকে নিগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনার কথা মহকুমা খাদ্য আধিকারিককে জানিয়েছি।’’ যদিও হেতাকোল গ্রামের বাসিন্দা অজয় মাহাতো, প্রশান্ত মাহাতো, চন্দন মাহাতোরা বলছেন, ‘‘খাদ্য আধিকারিককে আমরা নিগ্রহ করিনি। আমাদের গ্রামের সমস্যা নিয়ে উনি পদক্ষেপ করছেন না, তাই আমরা ওঁর সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছিলাম। উনি আমাদের দেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন।’’

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হেতাকোল গ্রামের রেশন ডিলার কৃষ্ণপদ। তিনি বলেন, ‘‘আমি খারাপ আচরণ করিনি। বরং কয়েক জন বাসিন্দা রেশন নিয়ে ঠিক দাম দিতেন না।’’

বিডিও (বান্দোয়ান) মহাদ্যুতি অধিকারী বলেন, ‘‘বান্দোয়ানের হেতাকোল গ্রামের বাসিন্দাদের রেশনের কেরোসিন সংক্রান্ত একটা সমস্যা ছিল। শুনেছি এ দিন অফিস চত্বরে তাপসবাবুকে নিগ্রহ করা হয়েছে। তবে পুলিশ সময় মতো এসে পড়ায় অশান্তি বেশি দূর গড়ায়নি।’’

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনের ঘটনায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement