জলের লাইন। —নিজস্ব চিত্র।
পাইপলাইন রয়েছে। কিন্তু জল সরবরাহ অনিয়মিত। এই অবস্থায় জল সংগ্রহ করতে বান্দোয়ানের বাসিন্দারা হিমসিম খাচ্ছেন। বান্দোয়ান ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা দাস, বিজয়া বাউরি, সন্ধ্যা চক্রবর্তীদের অভিযোগ, ‘‘বান্দোয়ানে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের।
বান্দোয়ান ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা দাস, বিজয়া বাউরি, সন্ধ্যা চক্রবর্তীদের অভিযোগ, ‘‘বান্দোয়ানে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। পাইপলাইনে সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও বেশিক্ষণ জল পাওয়া যায় না। কোনওদিন সকালে তো, কোনওদিন দুপুরে জল আসে। ঘরের কাজ ফেলে রেখে জল নিতে ছুটে যেতে হয়। কিন্তু লাইন দিয়ে বড়জোর দু’জারিকেন জল মেলে।’’
বান্দোয়ানে জলের সমস্যা যে দীর্ঘদিনের তা মানছেন শাসকদলের নেতারাও। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জগদীশ মাহাতো বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট সরকারের আমলে জল প্রকল্প চালু হলেও এখআন থেকে সবাই উপকৃত হন না। ভালু জলাধার থেকে পাম্প করে সুপুডি গ্রামের রিজার্ভারে জল পাঠানো হয়। সেখান থেকে পাইপে করে জল বাজার এলাকায় আসে। সব জায়গায় পাইপ লাইন নেই। মূল প্রকল্পেই গলদ থেকে গিয়েছিল। এ বছর প্রখর দাবদাহে ভালু জলাধারে জল তলানিতে ঠেকেছে। বেশিরভাগ বাসিন্দা নলকূপের জল ব্যবহার করেন।’’
এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের পাশ দাঁড়াতে গাড়িতে করে পাড়ায়-পাড়ায় জল পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন এক ব্যবসায়ী। সেই ব্যবসায়ী উমেশ অগ্রবাল বলেন, ‘‘এ বছর প্রচণ্ড গরমে পুকুর, খাল সব শুকিয়ে গিয়েছে। বান্দোয়ানের বেশিরভাগ বাসিন্দা পাইপলাইনের জল পান না। পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে তাই আমার বাড়ির পাম্প থেকে জল তুলে এলাকায় দেওয়া হচ্ছে।’’
বান্দোয়ানের বিডিও অমলেন্দু সমাদ্দার বলেন, ‘‘বান্দোয়ানের বেশিরভাগ এলাকা পাথুরে। জলের অভাবে স্থানীয় একটি স্কুলের কর্তারা মাসখানেক আগে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরে সেখানে ৩০০ ফুট খনন করেও জল মেলেনি। সুপুডি গ্রামের প্রকল্প থেকে জল সরবরাহ করা হলেও তা যে পর্যাপ্ত নয়, জানি। বান্দোয়ানের জল সমস্যার কথা জেলাতেও জানিয়েছি।’’