সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি করে পুলিশকর্মী ‘আত্মঘাতী’

রাখালবাবু বলেন, ‘‘ছেলের কয়েক মাস আগেই বিয়ে দিয়েছি। কী যে হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলরামপুর শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১০
Share:

জয়দীপ দাস। —নিজস্ব চিত্র

নাকা তল্লাশি চলছিল। তারই মধ্যে শৌচের জন্য একটু আড়ালে গিয়েছিলেন। হঠাৎ পরপর গুলির শব্দ। সহকর্মীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন পুরুলিয়ার বলরামপুর থানার জুনিয়র কনস্টেবল জয়দীপ দাস (২৮)। হাতে ধরা সার্ভিস রাইফেল। বুধবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ পুরুলিয়া-জামশেদপুর (৩২ নম্বর) জাতীয় সড়কে, বলরামপুরের দাঁতিয়া মোড়ের অদূরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়দীপের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানা এলাকার নাদাসুলি গ্রামে। বলরামপুর দৈনিক বাজার লাগোয়া কমিউনিটি হলের কাছে যে পুলিশ ক্যাম্পটি রয়েছে, সেখানে কাজ করতেন তিনি।

Advertisement

জয়দীপের বাবা রাখাল দাস খবর পেয়ে পুরুলিয়া রওনা হয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন জয়দীপের কয়েকজন বন্ধু। রাখালবাবু বলেন, ‘‘ছেলের কয়েক মাস আগেই বিয়ে দিয়েছি। কী যে হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।’’ তিনি জানান, দুই ছেলের মধ্যে জয়দীপ বড়। বছর পাঁচেক আগে জুনিয়র কনস্টেবলের চাকরি পেয়ে খড়্গপুরে প্রশিক্ষণ নেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে সহকর্মীদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন জয়দীপ। অন্য দিনের মতো দাঁতিয়া মোড়ের অদূরে জাতীয় সড়কে নাকা তল্লাশি করছিলেন। জায়গাটা ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া।

সহকর্মীদের দাবি, শৌচে যাচ্ছেন বলে রাস্তা থেকে একটু দূরে সরে গিয়েছিলেন জয়দীপ। তার পরেই গুলির শব্দ। গিয়ে দেখেন, মুখের এক পাশ থেঁতলে গিয়েছে। সহকর্মীরা দ্রুত সেখান থেকে তাঁকে তুলে বলরামপুরের বাঁশগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা জানান, জয়দীপের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জেলার পুলিশ কর্তাদের একাংশের অনুমান, নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই যুবক।

Advertisement

ঘটনার খবর পেয়ে বলরামপুরে যান পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া। তিনি বলেন, ‘‘গুলির শব্দ শুনে সহকর্মীরা গিয়ে দেখেন, ওঁর হাতে ইনসাস ধরা রয়েছে। গলার কাছে গুলি লেগেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement