বড়দিনের আগে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট। নিজস্ব চিত্র।
বৃষ্টি বেশি হওয়ায় মুকুটমণিপুর জলাধার এখন কানায় কানায় পূর্ণ। এ সময়ে সচরাচর জলাধারের এমন ছবি খুব কমই দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। আজ, শনিবার বড়দিন। পুলিশের অনুমান, বড়দিনে এ বারে পর্যটকদের ঢল নামবে মুকুটমণিপুরে।
তবে পর্যটকেদেরর কোনও সমস্যায় যাতে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় পুলিশ। জলাধার পূর্ণ থাকায় এ বারে পিকনিক করা এবং গাড়ি রাখার জায়গা কমেছে।
খাতড়া থানা ও মুকুটমণিপুর পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটকদের গাড়ি রাখার জন্য বেশ কয়েকটি ‘জ়োন’ তৈরি করা হয়েছে। যেমন—ফাঁড়ির মাঠকে ‘অরেঞ্জ জ়োন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। খাতড়ার দেদুয়া মোড় দিয়ে আসা বাসগুলি সেখানে রাখা যাবে। ‘ইয়েলো জ়োন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে যুব আবাসের পিছনের দিকের অংশ, একলব্য স্কুলের মাঠ, গোড়াবাড়ি হাইস্কুল এবং কংসাবতী মাঠকে।
রানিবাঁধের অম্বিকানগর দিয়ে আসা বাসগুলি রাখা হবে কংসাবতী মাঠ এবং কালীমন্দির সংলগ্ন মাঠে। ওই জ়োনের বাকি জায়গায় থাকবে ছোট গাড়ি।
‘ব্লু জ়োন’ করা হয়েছে ধগড়া ও পিয়ারলেস সংলগ্ন জায়গাকে। পরেশনাথ ফাঁড়ির নীচে ফাঁকা জায়গাটিকে ‘পরেশনাথ জ়োন’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। অম্বিকানগর দিয়ে আসা পর্যটকদের কিছু গাড়ি ওই জ়োনে পাঠানো হবে। পুরুলিয়ার মানবাজারের দিক দিয়ে আসা গাড়িগুলি রাখা হবে ‘বনপুখুরিয়া জ়োন’-এ।
এসডিপিও (খাতড়া) কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘‘জলাধারে পর্যাপ্ত জল থাকায় গাড়ি রাখার জন্য পাঁচটি জ়োন করা হয়েছে। সে জ়োনগুলি নিয়ন্ত্রণ করা এবং পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হবে। পর্যাপ্ত পুলিশও থাকবে।’’
মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি, তৃণমূলের মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, ‘‘পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
মহকুমাশাসক (খাতড়া) মৈত্রী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পর্যটনকেন্দ্রে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’’