ফাইল চিত্র
ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের পার্টি অফিস পে-লোডার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিলেন বিজেপি-র যুবমোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি অনুপম হাজরা। সোমবার শান্তিনিকেতনে এসে বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম প্রথমে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তিনি জানান, ভবিষ্যতে বিশ্বভারতীতে এমন তাণ্ডব রুখতে এবং বিশ্বভারতীকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে এ দিন উপাচার্যের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকের পরে অনুপম পৌষমেলার মাঠের ভাঙচুর হওয়া জায়গা পরিদর্শনে যান। সেখানেই তিনি হুঙ্কার ছাড়েন, “যেভাবে তৃণমূলী গুন্ডা বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদতে বিশ্বভারতীর মধ্যে পে-লোডার এনে স্মারক গুঁড়িয়ে ফেলা হল, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঠিক সেভাবেই পে-লোডার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস!’’ এর প্রতিক্রিয়ায় জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘উত্তর ভারত ও গুজরাতের বাহুবলী সংস্কৃতিকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি। অফিস ভেঙে দেওয়ার হুমকি থেকেই পরিষ্কার যে, তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পছন্দ করে। এর উত্তর মানুষই দেবেন।’’ মেলার মাঠে ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ‘মূল কালপ্রিট’ বলেও অভিযোগ করেন অনুপম। অভিজিৎবাবুর জবাব, ‘‘বীরভূমের উন্নয়নে অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা সাধারণ মানুষ জানেন। অনুপমের মতো অরাজনৈতিক লোকের থেকে সেটা জানার প্রয়োজন নেই।’’
রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে রবিবার বোলপুরের চৌরাস্তা ও শ্যামবাটি এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিজেপির অভিযোগ, সেই সভাস্থল পরিষ্কার করেনি শাসকদল। এ দিন সেই জায়গায় ঝাঁট দেন অনুপম-সহ বিজেপি-র নেতা-কর্মীরা। অনুপমের কথায়, ‘‘আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। তাই জায়গাটি সবাই মিলে পরিষ্কার করেছি।’’ তা শুনে অভিজিৎ সিংহের কটাক্ষ, ‘‘নেই কাজ তো খই বাছ। প্রচারে আসার জন্য এ সব করা।’’