তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘অনুব্রত যেখানেই থাকুন তাঁর ঘাড়েই জেলার দায়িত্ব থাকবে।’’ —ফাইল চিত্র।
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তবে জেলে থাকা অনুব্রত মণ্ডলকেই বীরভূমের জেলা সভাপতির পদে রেখে দিল তৃণমূল। শুক্রবার তৃণমূলের বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৩২ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫৩ করা হয়েছে। অনেক নতুন মুখ সেই কমিটিতে যুক্ত হয়েছেন। এবং অনুব্রতের পদও বহাল থাকছে। বৈঠক শেষে তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘অনুব্রত যেখানেই থাকুন তাঁর ঘাড়েই জেলার দায়িত্ব থাকবে।’’
শুক্রবার বীরভূমের সিউড়িতে এই কোর কমিটির ডাকা বৈঠকে ছিলেন জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাতে সিদ্ধান্ত হয় জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। এ নিয়ে বিকাশ বলেন, ‘‘গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মাত্র দুটো আসন পেয়েছিল বিরোধীরা। এ বার ১৯টি পঞ্চায়েত সমিতির সবগুলো তৃণমূল পাবে। তা ছাড়া ৫২টি জেলা পরিষদে সর্বত্র জয়ী হবে তৃণমূল।’’ তিনি জানান পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে নতুন করে গড়া বীরভূম তৃণমূল জেলা কমিটিতে রয়েছেন কাজল শেখ। এ ছাড়া বিজেপি, সিপিএম থেকে তৃণমূলে আসা অনেককে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
গত বছর অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বীরভূমে শাসকদলের মধ্যে একাধিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেই গোষ্ঠীকোন্দল ঠেকাতে এবং দলে ভাঙন রোধ করতেই সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে। বীরভূম তৃণমূলের গড় ছিল, আগামী সময়েও থাকবে।
বস্তুত, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করেছিল তৃণমূল। তাঁকে দলীয় পদ থেকে সরানোর পাশাপাশি মন্ত্রিত্বও থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষের বেলাও তাই হয়েছে। কিন্তু গরু পাচার মামলায় প্রায় ৮ মাস জেলবন্দি অনুব্রতের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি তৃণমূলকে।