Anubrata Mondal

‘ব্যাপক হবে পঞ্চায়েত ভোট’, আসানসোল থেকে বিধাননগর বিশেষ আদালতে আসার সময় মন্তব্য অনুব্রতের

কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতা বিধাননগর বিশেষ আদালত নিয়ে আসা হচ্ছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। সকাল ৬টা ৪৫ নাগাদ তাঁকে গাড়িতে তোলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:১৬
Share:

আসানসোল সংশোধনাগারের বাইরে অনুব্রত। নিজস্ব চিত্র।

কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতা বিধাননগর বিশেষ আদালত নিয়ে আসা হচ্ছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। সকাল ৬টা ৪৫ নাগাদ তাঁকে আসানসোল সংশোধানাগার থেকে বার করে গাড়িতে তোলা হয়। একটি বাতানুকূল গাড়িতে বসিয়ে অনুব্রতকে বিধাননগর নিয়ে আসছে পুলিশ। অনুব্রতকে যে গাড়িতে করে বিধাননগর বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হচ্ছে তার সামনে ও পিছনে অন্য গাড়িতে পুলিশ স্কোয়াড রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। তৃণমূল নেতাকে কলকাতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে।

Advertisement

আসানসোল আদালতের বাইরে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, পঞ্চায়েত ভোটে কী হতে চলেছে? উত্তরে তিনি শুধু বলেন, ‘ব্যাপক হবে’। এর পর একটি বিশেষ সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন শুনে রাগতেও দেখা যায় অনুব্রতকে। শরীর কেমন আছে জিজ্ঞাসা করাতেও তাঁর উত্তর, ‘ভাল নেই।’

বামফ্রন্ট আমলে ২০১০ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানা এলাকার একটি বিস্ফোরণের মামলায় অনুব্রতকে বৃহস্পতিবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। ২০১০-এ মঙ্গলকোট থানায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। চার্জশিটেও তাঁর নাম ছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকারের ক্ষমতায় আসার পর ‘দাপট’ বাড়ে অনুব্রতের। আইন-আদালতও বিশেষ করতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের নির্দেশে তিনি আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন। তাই এখন যদি এই মামলায় তিনি যদি হাজির না হন তা হলে পুলিশের দিকে আঙুল উঠতে পারে। এই কারণেই ওই পুরনো মামলায় অনুব্রতকে বিধাননগর বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা যাওয়া-আসা নিয়ে বেশ খানিকটা ভীত তৃণমূলের দাপুটে নেতা। এত দূর গিয়ে ফিরে আসায় তাঁর শরীর আরও খারাপ হতে পারে বলেও নাকি তিনি আশঙ্কা করেছিলেন। তাই তাঁকে বিধাননগর বিশেষ আদালতে নিয়ে আসার সময় প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সঙ্গে নেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি ও তাঁর আত্মীয়-পরিজনের নামে একাধিক সম্পত্তির নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতা ও তাঁর আত্মীয়-ঘনিষ্ঠদের নামে অন্তত ১৬২টি সম্পত্তির হদিস মিলেছে। মঙ্গলবার তাঁকে ও সহগলকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তদন্তকারীরা। তার মাঝেই এ বার অন্য একটি মামলায় তৃণমূল নেতাকে ডেকে পাঠাল কলকাতার আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement