নলহাটি হরিপ্রসাদ হাইস্কুলের মাঠে। নিজস্ব চিত্র
নাগরিকত্ব প্রমাণের তথ্য নিতে সরকারি কর্মীরা বাড়িতে এলে তাঁদের ‘ঢিলিয়ে’ দেওয়ার নিদান দিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার বিকেলে নলহাটি
হরিপ্রসাদ হাইস্কুলের মাঠের জনসভায় অনুব্রত বলেন, ‘‘যদি আপনাদের বাড়িতে এনকোয়ারি করতে সরকারি লোক যায়, কাক যে ভাবে ঢিলিয়ে তাড়ান, সে ভাবেই ঢিলিয়ে দেবেন। কোনও অসুবিধে নেই। সঙ্গে আমরা আছি। মানুষের কাজ করতে পারে না। আগে উন্নয়ন, তার পরে এনআরসি করুন।’’ পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি-র আঁচড়ও পড়বে না বলেও সভায় হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ দিন মঞ্চে ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, ত্রিদিব ভট্টাচার্য ও নলহাটির বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস। তৃণমূল নেতাদের দাবি, জনসভায় তিরিশ হাজারের বেশি কর্মী এসেছিলেন। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সভায় উপস্থিত মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্যে বলেন, ‘‘দশ বছর অন্তর জনগণনা হয়। এ বার এনপিআরে নিজের নাম, জন্ম তারিখ ও স্থান দিতে হবে। ঠিক একই ভাবে বাবার জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান ছাড়াও অনেক কিছু দিয়ে ফর্মফিলাপ করতে হবে। আমার ৬৮ বছর বয়স। আমার চেয়ে মোদী এক বছরের বড়ো। আমরা যখন জন্মগ্রহণ করেছিলাম, তখন বার্থ সার্টিফিকেটের চল ছিল না। মোদী ও অমিত শাহ তাঁদের বাবার জন্ম সার্টিফিকেট ও জন্মস্থান কী উপায়ে বের করলেন আমাদের বললে আমরাও ঠিক একই উপায়ে সার্টিফিকেট বের করব।’’
কেন্দ্রীয় সরকারের বিবিধ নীতির সমালোচনাও করা হয় মঞ্চ থেকে। অনুব্রত বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আন্দোলন করতে জানেন। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আন্দোলন করব। এনআরসি ও সিএএ হতে দেব না। যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন, পশ্চিমবঙ্গে একটি আচড়ও কেউ দিতে পারবে না।’’