শনিবার পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত একটি ‘এসওপি’ জারি করেছে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপত্র নির্দিষ্ট বাক্সে ঢুকিয়ে ডিজিটাল লক করতে হবে। এবং তা তুলে দিতে হবে ডাক বিভাগের হাতে। ডিসেম্বরের গোড়া থেকে ডাক্তারির স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষায় এই নিয়ম চালু করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি পরীক্ষা পরিচালন ব্যবস্থাপনায় নির্দিষ্ট ভাবে একগুচ্ছ নিয়মও বেঁধে দিল বিশ্ববিদ্যালয়।
শনিবার পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত একটি ‘এসওপি’ জারি করেছে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যে ডাক্তারি পরীক্ষায় কড়া ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন হয়। স্বচ্ছ পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে সম্প্রতি ওই কমিটি বেশ কিছু প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই সুপারিশগুলি মেনেই ‘এসওপি’ তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। তাতে পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপত্র নির্দিষ্ট বাক্সে ঢুকিয়ে ডিজিটাল লক করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার, পরীক্ষা কক্ষে ২৫ জন পরীক্ষার্থী পিছু এক জন ইনভিজিলেটর রাখার কথা বলা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ, অধিকর্তা এবং ডিন একমাত্র সেন্টার ইনচার্জ হতে পারবেন। তা না হলে তাঁদেরই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রফেসর পদমর্যাদার কোনও এক জন চিকিৎসককে নির্দিষ্ট করে দিতে হবে সেন্টার ইনচার্জ হিসেবে।
‘এসওপি’-তে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষা কক্ষে দু’টি সারির মাঝে কতটা ফাঁক রাখতে হবে। বলা হয়েছে, কোনও ভাবেই এক ঘরে গাদাগাদি করে পরীক্ষার্থীদের বসানো যাবে না। প্রয়োজনে একাধিক ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। এ-ও বলা হয়েছে যে, কারা ইনভিজিলেটর হবেন তার তালিকা পরীক্ষা শুরুর সাত দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে জানিয়ে দিতে হবে। এবং কোনও ভাবেই আরএমও, ডেমনস্ট্রেটর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, প্রফেসর পদমর্যাদার চিকিৎসকেরা ছাড়া অন্য কেউ ইনভিজিলেটর হতে পারবেন না। সেই ইনভিজিলেটরদেরও দায়িত্ব নির্দিষ্ট করা আছে ‘এসওপি’-তে।