—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে সিলিকোসিস আক্রান্ত সন্দেহে প্রাথমিক ভাবে ৯২ জন চিহ্নিত করল স্বাস্থ্য দফতর। এপ্রিলের শেষের দিকে তিন দিন ধরে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুরারই ১, নলহাটি ১ এবং রামপুরহাট ১ ব্লকের বিভিন্ন পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এই খোঁজ মিলেছে। গত বছর রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলাই ৪৯ জন সিলিকোসিস রোগী ধরা পড়েছিলেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছি, এই ৪৯ জন সিলিকোসিস রোগীর মধ্যে রামপুরহাট ১ ব্লকের ২৫ জন, নলহাটি ১ ব্লকের ১৪ জন এবং মুরারই ১ ব্লকে ১০ জন আছেন।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে সিলিকোসিস রোগীর সন্ধানে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন যেখানে পাথর শিল্পাঞ্চল আছে, সেখানে এই চিহ্নিতকরণ শিবির করে স্বাস্থ্য দফতর। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন রামপুরহাট ১ ব্লক, নলহাটি ১ ব্লক এবং মুরারই ১ ব্লক— এই তিন ব্লকে সিলিকোসিস আক্রান্ত রোগীদের চিহ্নিতকরণের শিবির হয়। সেখানে প্রাথমিক ভাবে ৯২ জনকে চিহ্নিত করা হয়।
এই শিবির হওয়ার পরে সন্দেহজনকদের জেলাশাসক, স্বাস্থ্যভবনের যক্ষা বিভাগের যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা, শ্রম দফতরের অধীন ‘ডেপুটি ডাইরেক্টর অব ফ্যাক্টরিজ়’, শ্রম দফতরের অধীন ‘ডেপুটি লেবার কমিশনার’, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষকে নিয়ে তৈরি বোর্ড পরীক্ষা করে দেখবে। সেখানে সিলিকোসিস রোগ নির্ণয় করা হবে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিতাভ সাহা বলেন, ‘‘বুকের এক্সরে, থুথু পরীক্ষা-সহ আরও নানা পরীক্ষার মাধ্যমে সিলিকোসিস রোগ নির্ণয় করা হবে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সিলিকোসিস নির্ণয়ের পরে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে কার্ড দেওয়া হবে। কার্ড দেওয়ার পরে শ্রম দফতরের অধীন ‘পশ্চিমবঙ্গ সিলিকোসিস সুরক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণ তহবিল’ থেকে সিলিকোসিস রোগীদের এককালীন ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। সিলিকোসিস আক্রান্ত রোগী মারা গেলে আরও ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা পরিবারকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া পরিবারের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেবে শ্রম দফতর। সিলিকোসিস রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগও পাবেন বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানান।