উদ্ধার হওয়া মূর্তি। নিজস্ব চিত্র
বাঁকুড়া জেলার জয়পুরের সলদার পরে এ বার নটরাজের প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার হল বাঁশি-চণ্ডীপুর এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদ থেকে। সম্প্রতি সেটিকে স্থানীয় খুশিগঞ্জের বাসিন্দারা দেবী মনসা মূর্তি ভেবে মন্দিরে নিয়ে যান। তাঁদের ইচ্ছা ছিল, মন্দিরের দেওয়ালে সেটি গেঁথে পুজো-অর্চনা করবেন। তবে স্থানীয় সদানন্দ পাল, ক্ষেত্র সমীক্ষক বিপ্লব বরাট-সহ অনেকেই সেখানে গিয়ে গ্রামের মানুষকে বোঝান। তাঁদের ইচ্ছা, প্রশাসন মূর্তিটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুক।
ছবি দেখে বিষ্ণুপুরের জেলা সংগ্রহশালার কিউরেটর তুষার সরকার বলেন, “কিছুটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। তবে বুঝতে অসুবিধা নেই, এটি দ্বাদশ শতকের নটরাজের মূর্তি। চক্রের কিছুটা অংশও ভেঙে গিয়েছে। এরকম মূর্তি পশ্চিম মেদিনীপুরের কান্তোড়ের মন্দিরে আছে। এই মূর্তি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন নির্দেশ দিলেই আমরা সেটি উদ্ধার করে সংগ্রহশালায় রাখতে পারি। পর্যটক ও গবেষকদের কাছে এর গুরুত্ব যথেষ্ট।”
মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “এলাকাবাসী চাইলে প্রাচীন মূর্তিটি সংগ্রহশালায় রাখা যেতে পারে। এই সব দুষ্প্রাপ্য মূর্তি সংরক্ষণ করা দরকার। প্রশাসনিক ভাবে আলোচনা করছি।”
পুরাতত্ত্ব গবেষকদের মতে, দ্বারকেশ্বর নদ থেকে বিভিন্ন সময় মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। এখনও মিলছে দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন সব মূর্তি। স্থানীয় প্রবীণদের একাংশ জানান, নদী থেকে গভীর গর্ত করে বালি তোলার ফলে অনেক সময় মূর্তি ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। তাই মূর্তি উদ্ধার হলেও পূর্ণাঙ্গ থাকে না। এ বিষয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ খুব জরুরি।