রামপুরহাট শহরে তৈরি হয়েছে তোরণ। নিজস্ব চিত্র।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে তারাপীঠ মন্দির চত্বরে রামের বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। হবে যজ্ঞও। পাশাপাশি, রবিবার সন্ধ্যা থেকে এলাকায় আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
তারাপীঠ মন্দিরে চত্বরে পুরনো হনুমান মন্দির আছে। সূত্রে খবর, সেবায়েতদের একাংশের উদ্যোগে আজ, সোমবার, সেই মন্দির সংলগ্ন এলাকায় যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে।
তারাপীঠ মন্দিরের এক সেবায়েত পুলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত তন্ময় চট্টোপাধ্যায় আমন্ত্রিত হয়ে অযোধ্যায় গিয়েছেন। পাশাপাশি, তারাপীঠ মন্দির চত্বরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। চার জন পুরোহিত হোমের জন্য থাকবেন। এক জন পুরোহিত রামের পুজো করবেন। এক জন হনুমান চালিশা পাঠ করবেন।’’ রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে তারাপীঠ এলাকায় তোরণও তৈরি করা হয়েছে।
তারাপীঠের পাশাপাশি রামপুরহাট, নলহাটি, রাজগ্রাম, মল্লারপুর, ময়ূরেশ্বর, মহম্মদবাজার, কলেশ্বর এলাকায় বেশ কয়েকটি মন্দির সাজানো হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তর বীরভূম কার্যকর্তা উৎপল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘মহম্মদবাজার থেকে ময়ূরেশ্বর, মল্লারপুর, রামপুরহাট, নলহাটি মুরারই থেকে পাইকর পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫০টি মন্দিরে পুজো হবে। রামপুরহাট পুরসভার মাঠে রামের মূর্তি পুজো এবং হোম হবে। শ্রীফলা মোড়েও হোম হবে। কীর্তন-সহযোগে শোভাযাত্রাও বেরোবে। ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
গেরুয়া শিবির জানিয়েছে, নলহাটি শহরে পাঁচটি রামমন্দির আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। সাজানো হয়েছে নলাটেশ্বরী মন্দির। নলহাটি শহরের বিভিন্ন রাস্তা এবং বিভিন্ন মন্দির রামের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে। মল্লারপুরের বাহিনা মোড়, ফতেপুরবাজার, শিববাড়ি এলাকায় সোমবার সকালে কীর্তন-সহ শোভাযাত্রা বেরোবে।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এ দিন সারা জেলা জুড়েই নজর রাখা হচ্ছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে।