ছেলের ছোড়া বোমায় মায়ের মৃত্যু, অভিযোগ

চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন বোমার ঘায়ে মাথায় মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মল্লারপুর শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:০৯
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ছেলের ছোড়া বোমার আঘাতে মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল মল্লারপুরের জবুনি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। শুক্রবার দুপুরের এই ঘটনায় এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও প্রশ্নের মুখে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম জুলমা বিবি (৭৪)। তাঁর ছেলে ভোঁদা মল্লিক পারিবারিক বিবাদের জেরে নিজের ভাগ্নের দিকে বোমা ছোড়ে। কিন্তু হাত ফস্কে বোমা লাগে জুলমা বিবির মাথায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জখম হয় ভোঁদাও। বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। প্রতিবেশীরা আসার আগেই পালিয়ে যায় ভোঁদা। জুলমা বিবিকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়েরা। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন বোমার ঘায়ে মাথায় মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় শনিবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ স্বতপ্রণোদিতভাবে খুনের মামলা শুরু করেছে। তদন্তে নেমে ভোঁদার বাড়ি সংলগ্ন ঝোপ থেকে ন’টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বম্ব স্কোয়াডের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ন’টি বোমাই নিষ্ক্রিয় করে। আরও বোমা মিলতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।

বোমাবাজিতে মল্লারপুরের নাম এর আগেও বহুবার শিরোনামে এসেছে। শুক্রবার জবুনি গ্রামে বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনার পাশাপাশি সামান্য পারিবারিক বিবাদে বোমা ছোড়ার ঘটনা এবং বোমা মজুত করে রাখায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘বোমার আঘাতে একজন বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ন’টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে।’’ পুলিশ সুপারের বক্তব্য, বোমা, কোথা থেকে এল আর কী ভাবে ওই বৃদ্ধার গায়ে তা লাগল তার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

জুলমা বিবির পরিবার ও পড়শিদের থেকে জানা গিয়েছে, একই বাড়িতে জুলমা বিবির পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে থাকতেন। শুক্রবার সকালে মেজ ছেলে ভোঁদা মল্লিক এবং মেজ মেয়ে মাসুবা বিবির ছেলেদের মধ্যে খেলা নিয়ে বচসা হয়। দুপুরে তা চরমে পৌঁছয়। বচসার মধ্যেই ঘর থেকে বোমা বের করে ভাগ্নে মাসারুলকে মারতে উদ্যত হয় ভোঁদা। বাধা দিতে যান জুলমা। তখনই হাত ফস্কে তা বৃদ্ধার মাথায় লাগে। পুলিশ ভোঁদার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশের নজরদারির অভাবেই গ্রামে ভোঁদা শেখের মতো লোকজনের বাড়িতে বোমা মজুত থাকছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রামপুরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement