মহিলাকে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
দিন চারেক আগে বীরভূমের নানুরে ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মহিলার মৃতদেহ। সেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়িতে উঁকি দেওয়ার প্রতিবাদ করায় ওই মহিলাকে খুন করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।
নানুরের গোমড়া গ্রামে একটি বাড়ির মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছিল সঞ্চিতা শেঠ (৪০) নামে এক মহিলার মৃতদেহ। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে নানুর থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে নাড়ুগোপাল দাস (৫৪) নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দাকে। পুলিশ জানতে পারে, সঞ্চিতা বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর স্বামী বৃন্দাবন শেঠ কর্মসূত্রে থাকেন আমদাবাদে, পুত্র থাকেন কলকাতায়। তাঁদের এক মেয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে নাড়ুগোপাল সঞ্চিতার বাড়িতে উঁকি দিয়েছিলেন। তার প্রতিবাদ করেন সঞ্চিতা। তিনি বিষয়টি স্বামীকে জানান। এর পর বৃন্দাবন নাড়ুগোপালকে ফোন করে এমন কাজ করতে নিষেধ করেন। কিন্তু সঞ্চিতা বাড়িতে থাকাকালীন নাড়ুগোপাল আবারও ঘরে উঁকি দেন বলে অভিযোগ। সঞ্চিতা নাড়ুগোপালকে চিনে ফেলেন। পরের দিন তিনি নাড়ুগোপালকে গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ। সেই আক্রোশে নাড়ুগোপাল সঞ্চিতার শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।
খুনের পর নাড়ুগোপাল সঞ্চিতার মোবাইল নিয়ে চলে যান বলেও পুলিশের দাবি। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বোলপুর আদালত।