নিজস্ব চিত্র
রাস্তায় ফেলে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরে। বৃহস্পতিবার সকালে পাত্রসায়ের বাসস্ট্যান্ডের তেমাথা মোড়ের কাছে ওই তৃণমূল নেতাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত কর্মকারের উপর অতর্কিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে দলেরই আর এক নেতা তথা ব্লক সভাপতি দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাত্রসায়ের বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন সুব্রত। তাঁর অভিযোগ, তেমাথা মোড়ের কাছে পৌঁছতেই তাঁর উপর রড, লাঠি নিয়ে কয়েক জন হামলা চালান। মারধরের পর হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে স্থানীয়েরাই সুব্রতকে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। পরে সেখান থেকে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
চিকিৎসারত অবস্থায় আক্রান্ত সুব্রত বলেন, “অতর্কিতে আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে। রড, লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দলের ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ এক নেতা দাঁড়িয়ে থেকে আমাকে মারধরে ইন্ধন দেন। হামলাকারীরা সকলে পাত্রসায়ের ব্লক সভাপতি দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।’’ দিলীপের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। আমার ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এই অভিযোগ আনা হচ্ছে। আক্রান্ত কর্মাধ্যক্ষ এক সময় পদত্যাগ করে বিজেপির পক্ষ নিয়ে আবির মেখেছিলেন। তা নিয়ে কারও রাগ থেকে থাকতে পারে। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই।’’
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। পুলিশ ও প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।”