এণাক্ষী বিশ্বাস, অমৃতা দত্ত ও শ্রেয়সী সরকার। —নিজস্ব চিত্র
জেলায় এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য তিন জন প্রথম হয়েছে। বোলপুরের অমৃতা দত্ত, সিউড়ির শ্রেয়সী সরকার ও রামপুরহাটের এণাক্ষী বিশ্বাস। তিনজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৫।
টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ একাডেমির বোলপুরের ছাত্রী অমৃতা। আইসিএসই মাধ্যমে এলাকার একটি বিদ্যালয় থেকে দশম শ্রেণিতে ৯৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে জেলায় প্রথম হয়েছিল। বাবা দীপনারায়ণ দত্ত স্থানীয় রজতপুর ইন্দ্রনারায়ণ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ও মা যমুনা দত্ত গৃহবধূ। বরাবর পড়াশোনায় ভাল অমৃতা জানায়, ‘‘পদার্থবিদ্যায় আরও কিছু নম্বর আসার কথা ছিল। বড় হয়ে ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে আছে।’’
বোলপুরের কলেজপল্লির বাসিন্দা অমৃতা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং ট্রেকিং করতে ভাল বাসে। তার কথায়, ‘‘পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই।’’ অমৃতার সাফল্যে খুশি তার পরিবার। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা তনুশ্রী সোম বলেন, ‘‘প্রতিষ্ঠানের প্রথম ব্যাচের পড়ুয়ার এমন সাফল্যে খুব ভাল লাগছে।’’
অন্য দিকে, উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করে এ দিন নজর কেড়েছে রামপুরহাট গা র্লস হাইস্কুলের পরিক্ষার্থী এণাক্ষী বিশ্বাস। দু’ বছর আগে রাজ্যে নবম স্থান পেয়েছিল সে। এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এক থেকে দশের মধ্যে না থাকলেও যুগ্ম ভাবে জেলাতে প্রথম হয়েছে। বাবা গৌতম বিশ্বাস স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী, মা শম্পা সেন প্রাথমিক শিক্ষিকা। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘কোনও ধরা বাধা সময় ছিল না ওর পড়ার। যখন ইচ্ছে হত, তখন পড়ত।’’ এণাক্ষীর ইচ্ছে রসায়ন নিয়ে ডক্টরেট করে শিক্ষক হবেন। ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্সিতে এবং বিশ্বভারতীতে পড়ার জন্য ফর্ম তুলে রেখেছে এণাক্ষী।
প্রথাগত পড়ার বাইরে একটু অন্যরকম ভাবছে সিউড়ির লাল দিঘি পাড়ার বাসিন্দা শ্রেয়সী।
বাবা আদ্যনাথ সরকার সহকারি স্কুল পরিদর্শক ছিলেন। মেয়ের ফলে খুশি। তবে বাড়িতে সবচেয়ে খুশি মা জয়শ্রীদেবী। তিনি বলেন, ‘‘বিনোদনের সমস্ত কিছু বাড়িতে আছে। কিন্তু মেয়ে পড়া করেছে নিষ্ঠার সঙ্গে। তাই ভাল করতে পারল।’’ শ্রেয়সী বলে, সে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে পড়তে চায়। পড়ার বাইরে তার পছন্দ রবীন্দ্রনাথের গান।